নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ফ্যাসিবাদের আমলাতন্ত্রকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো গোলযোগের চূড়ায়। হাসিনার সেই পাপের খেসারত দিতে হচ্ছে অন্তবর্তী সরকারকে।রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাতন্ত্রকে ঢেলে সাজানোর দাবি ছিলো সবার আগে। তারই অংশ হিসেবে ‘সরকারি চাকরি-সংশোধন অধ্যাদেশ- ২০২৫ জারি করা হয়। আর এ নিয়েই আপত্তি জানায় হাসিনার আমলে ক্রিম খাওয়া আমলারা।
প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসরদের ইন্ধনে সচিবালয়কে স্থবির করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। মঙ্গলবার ছিলো তার চতুর্থ দিন।সূত্র বলছে, হাসিনা সরকার আমলাতন্ত্রে বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তার হাতে গড়া ফ্যাসিবাদী আমলাতন্ত্রের মধ্যে কেবল ধর্মীয় সংখ্যালঘু আমলাই রয়েছেন অন্তত ৫ শতাধিক
তথ্য বলছে, এর মধ্যে পূর্ণ সচিব ৩২ জন, যুগ্ম সচিব ১৩১ জন, উপসচিব ১৫২ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব ৫২ জন, সহকারী সচিব রয়েছেন ৯৬জন। এছাড়াও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ৪ জন, উপবিভাগীয় কমিশনার ৫ জন অতিরিক্ত উপবিভাগীয় কমিশনার ১০ এবং অন্তত জনা পঞ্চাশেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের পরপরই সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই আন্দোলনে নামে। নিজেদের দুর্নীতির সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে এসব কর্মকর্তারা মরণ কামড় দিচ্ছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেড নিউজ, ঢাকা