জেড নিউজ , ঢাকা ।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সময়ে বিভিন্ন গুজব এবং অপতথ্য ছড়াচ্ছে ভারত ।
কখনো আরাকান আর্মি সেন্টমার্টিন দখল করে নিয়েছে, আবার কখনো যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে নিতে চায়- এমন শিরোনামে বিভিন্ন ভুয়া খবর প্রচার করেছে তারা।
সম্প্রতি কয়েকটি ভারতীয় মিডিয়া দাবি করছে, আমেরিকাকে খুশি করতে সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ।
প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, কাউকে খুশি করতে না বরং সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সরকার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা– ইসিএ ঘোষণা করে। এছাড়া প্রতিদিন দ্বিগুণ সংখ্যক পর্য়টকের চাপ নিয়ে এক প্রকার মৃতপ্রায় অবস্থা সেন্টমার্টিনের। সৈকত ও পানিতে অতিরিক্ত দূষণের কারণে দ্বীপের বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে পড়েছে সামুদ্রিক কাছিম।
এছাড়াও এ দ্বীপটি বছরের পর বছর ধরে ভয়াবহ ভাঙ্গন ও দূষণের শিকার হচ্ছে । বিগত সরকার শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে অহেতুক রাজনৈতিক বক্ততাবাজি করলেও এর রক্ষণাবেক্ষণ, দূষণ প্রতিরোধ ও উন্নয়নে তেমন কিছুই করেনি।
তাই পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে সাময়িক সময়ের জন্য ভ্রমন বন্ধ করেছে সরকার।
