এতে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী
খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন না থাকলে ওজন বাড়তেই থাকবে। সাধারণত ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চললে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। পাশাপাশি শাকসবজি, ফল, দানাশস্য ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে হয়। এই হিসেবে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
ফাইবারে ভরপুর
পেয়ারার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটা পেয়ারা খেলে পেট ভর্তি হয়ে যায় এবং খুব জলদি খিদেও পায় না। সারাদিনে একটা পেয়ারা খেলে ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
ক্যালোরি কম
ওজন কমাতে হলে কম ক্যালোরি যুক্ত খাবারই খেতে হবে। কিছু কিছু ফলেও ক্যালোরি থাকে। কিন্তু পেয়ারায় ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। কাজ করার জন্য শরীরে যে পরিমাণ ক্যালোরি দরকার, সেটা পেয়ারার মধ্যে পাওয়া যায়। কম ক্যালোরি যুক্ত ফল খেয়ে ওজন কমাতে চাইলে পেয়ারা খেতে পারেন।
পুষ্টিতে ভরপুর
শুধু লেবুর রসে ভিটামিন সি থাকে না। পেয়ারার মধ্যেও এই পুষ্টি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। এছাড়া প্রোটিন, পটাশিয়ামের মতো বিভিন্ন পুষ্টি রয়েছে এই ফলে। পেয়ারা খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। পাশাপাশি হজমজনিত সমস্যাও এড়াতে পারবেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
পেয়ারার গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম। তাই এই ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। পেয়ারার মধ্যেও শর্করা রয়েছে, যা দেহে কাজ করার এনার্জি জোগায়। ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়িয়ে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা।