মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কারোপের চাপে যখন ভারতীয়দের ঘুম হারাম, তখন বাংলাদেশে প্রচুর অর্ডার আসার সুযোগ তৈরি হয়। সেই সুবিধায় শুকুনের চোখ পড়ে ভারতের, নেমে পড়ে জটিলতা তৈরির কাজে।
সম্প্রতি ভারতের অদৃশ্য এক অশুল্ক বাধার মুখে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা। যা বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর পথে বড় হুমকি।
গত কয়েক মাস দিল্লি, বেঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন শহরে বিদেশি বায়ারদের আঞ্চলিক অফিসে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো পোশাকের স্যাম্পল ভারতের কাস্টমস পরীক্ষার নামে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখছে। কিছু চালানতো একেবারেই ছাড়ছে না। ফলে রপ্তানিকারকরা বাধ্য হচ্ছেন স্যাম্পল- বিমানে লোক দিয়ে পাঠাতে। যা কুরিয়ার খরচের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি।
তাদের অভিযোগ, ভারত সরকার লিখিতভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা না দিলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এয়ার কুরিয়ারে পাঠানো এসব নমুনা আটকে দিচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এটি করা হচ্ছে।
ভারতে পুমা, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, এইচঅ্যান্ডএম, লিভাইস ও ম্যাঙ্গোর মতো শীর্ষস্থানীয় বেশকিছু বায়ার ও ব্র্যান্ডের অফিসে নিয়মিত স্যাম্পল পাঠাতে হয় রপ্তানিকারকদের। যেখানে ভারতে বা তৃতীয় কোনও দেশে রপ্তানি করার জন্য অনুমোদন নিতে হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে দিল্লী।
রপ্তানিকারকরা আশঙ্কা করছেন, এ প্রতিবন্ধকতা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তুলনামূলক শুল্ক সুবিধাকে ম্লান করে দিতে পারে। কারণ মাঙ্গো, লিভাইস ও মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের মতো ব্র্যান্ডগুলো সময়মতো নমুনা অনুমোদন না পেলে অর্ডার দেয় না। যদিও এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও দেশটিতে গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।