ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলা ভাষাভাষী বিশেষ করে মুসলমান নাগরিকদের টার্গেট করে বাংলাদেশে পুশইন করছে ভারত। জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো আগে তাদের ওপর চালানো হয় অমানবিক নিযাতন। সম্প্রতি সীমান্তে ফেনী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা নারী শিশুসহ ৫ জন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে নির্মম নিযাতনের বর্ণনা দিলেন।
এই ৫ জনকে ধরে আনা হয় ভারতের হরিয়ানা থেকে। পরে তাদের এনে কোমরে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে ত্রিপুরা সীমান্তের ফেনী নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। পরে তারা রাতভর নদীর পানিতে ভেসে ভোরে ফেনী নদী সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছান বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
২২ মে সকাল ৬টার দিকে রামগড়ের সীমান্তবর্তী ফেনীর সোনাইপুল এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের প্রশাসনের হেফাজতে নেওয়া হয়।ভুক্তভোগী উমেদ আলী বলেন, হরিয়ানায় আমরা শ্রমিকের কাজ করতাম। সেখান থেকে আমাদের ধরে এনে বুধবার রাত ১২টার দিকে কোমড়ে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। তীরে পৌঁছানোর পর গ্রামবাসী আমাদের উদ্ধার করে। এ সময় সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইলসহ সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে বিএসএফ। এসময় তাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি বিএসএফের নিষ্ঠুরতার হাত থেকে রেহাই পায়নি তাদের ৬ বছরের শিশুটিও। এ পরিবারটি গত ১০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিল বলে জানায়।
অথচ আটক বাংলাদেশিদের সাথে এধরনের নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তারা বলছে, যদি ভারতে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি থাকে তাহলে তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ফেরত পাঠানো হোক। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও ভারতের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কর্ণপাত না করে একতরফাভাবে প্রতিদিনই বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শত শত বাংলা ভাষাভাসি মুসলামনদের পুশইন করছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।