ভারত ও আওয়ামী লীগের ইন্ধনে ফের পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে সশস্ত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সাবেক পাহাড়ি নেতা করুনালংকার ভান্তে ওরফে মনোগীত জুম্ম’র সঙ্গে জেএসএস প্রধান সন্তু লারমার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রোববার খবর দিয়েছে একটি জাতীয় দৈনিক।
তাতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাসিন্দা করুনালংকার ভান্তে এক সময় ছিলেন জেএসএস এর সহসভাপতি। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর তিনি ভারতে চলে যান। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে নাম বদলে মনোগীত জুম্ম নামে নয়াদিল্লিতেই বসবাস করছেন এখন।
মনোগীত নিজেকে কথিত জুম্ম ল্যান্ডের স্বঘোষিত নেতা হিসেবে দাবি করলেও ভারত সরকারের কাছে তিনি একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু। আর এ পরিচয়েই ভারতে বসে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের ছক আঁকছেন করুনালংকার।পত্রিকাটি বলছে, গত ৩ মে জেএসএসের মূল নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা চিকিৎসার কথা বলে ভারতে গেলেও তিনি সেখানে ডাক্তার দেখাননি।
সরাসরি দিল্লির মনোগীত জুম্মর বাড়িতে ওঠেন। সেখানেই হয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তালিকাভুক্ত একাধিক সন্ত্রাসী অংশ নেন।
বৈঠকে, জুলাই বিপ্লবের অনুকরণে পাহাড়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পরিকল্পনা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাহাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষিতিদের মধ্যে কয়েক ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।আওয়ামী লীগ ও ভারত সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তারা সারাদেশেই ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।