জেড নিউজ, ঢাকা।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়টিতে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও তাদের অপরাধের বিচারে কোনো মতভেদ নেই বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপে তিনি বলেছেন, একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
ব্যক্তি জীবনে শেখ হাসিনা সরকারের হয়রাণি কিংবা গ্রেপ্তার নিয়ে কোনো আতঙ্ক ছিলো না উল্লেখ করে ওই সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, যেহেতু দেশে আইন-কানুন নাই, কাজেই তারা যা ইচ্ছা তা করতে পারে। ওর মধ্যে দিয়ে জীবন চলছিলো আমার। তবে সরকার যখন গঠন হলো, তখন দেখছি সব তছনছ হয়ে গেছে। কাজেই আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। সেখান থেকেই সংস্কারের চিন্তাটা আসে।
তবে কাঙ্খিত সেই সংস্কার প্রক্রিয়া এখনো শুরুই হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছিলাম, তার নতুন চেহারা আসছে। আমরা অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে-বিবিসির এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওনার মনে সন্দেহ হয়েছে কিনা এটা হলো কথা। উনি বলেছেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো ঘাটতি হয়নি।
সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছে এমন উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া ছাত্রদের দল গঠনে সরকারের কোনো অংশগ্রহন নেই জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে রাজনীতি করতে চায়, সে নিজেই ইস্তফা দিয়ে চলে গেছে। কেউ প্রাইভেট সিটিজেনশিপে রাজনীতি করলে তাকে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার কারো নেই।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়নি দাবি করে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তবে একটি গোষ্ঠীর অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। যা থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।
দীর্ঘ ওই সাক্ষাতকারে নির্বাচন, রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী দলগুলোর অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূরণ বিষয় নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।