চব্বিশের বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে পরিবর্তন এসেছে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায়ও। মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিবর্তন আনা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞায়। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পৃক্ত সব এমএনএ বা জাতীয় পরিষদের সদস্য ও এমপিএ বা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, যারা গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন, এখন থেকে তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। এতদিন তারা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের জন্য মোট পাঁচটি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে- যেসব বাংলাদেশী পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এবং বাংলাদেশের যেসব নাগরিক বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
দ্বিতীয়ত, যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত, সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।তৃতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পৃক্ত সব এমএনএ বা এমপিএ, যারা পরবর্তী সময়ে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন।
চতুর্থত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশী সাংবাদিক এবং পঞ্চমত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।এই শ্রেণিতে কারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন তা-ও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।