দেশে ঢাক-ঢোল পেটানো উন্নয়নের কাল শেষ হয়েছে। এখন চলছে নীরব কর্মযজ্ঞের কাল। ফলে কোনোরূপ আওয়াজ ছাড়াই দেশের সর্ব বৃহত রেল সেতুটির উদ্বোধন হলো আজ। অথচ হাসিনার আমলে এই সেতুর উদ্বোধন হলে মাস দুয়েক আগে থেকেই পেটানো হতো ঢোল। সাধারণ মানুষের প্রতি করুণা করা হচ্ছে এমন ভাব থাকতো তার বচনে।
জানা গেছে, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ এই রেল সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন যোগাযোগ সৃষ্টি হবে। কেননা এর আগে যমুনা সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ার পর তাতে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার গতিতে চালানো হত।
একটি মাত্র লেন এবং ধীর গতিতে যমুনা সেতু পারাপারে লেগে যেতো দীর্ঘ সময়। ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হতো। এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এবারের ঈদুল ফিতর থেকেই অন্তত এক ঘন্টার সাশ্রয় হচ্ছে উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলের রেল যাত্রীদের।
এদিকে, রেল সেতুটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাতো দূরের কথা ছিলেন না অন্য কোনো উপদেষ্টাও। রেল সেতু একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর ফিতা কাটেন। বিষয়টি বেশ চর্চিত হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তারা বলছেন, হাসিনার আমলে পদ্মা সেতুর পিলার সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি পেলো যমুনা রেল সেতু। সেই সঙ্গে ঈদের আগে হাসিনার জনগণকে উপহার দেওয়ার বাকওয়াজ থেকেও রক্ষা পেলো সাধারণ মানুষ।
জেড নিউজ, ঢাকা।