একসময় যেখানে ট্রাকের হর্ণে জেগে উঠত পেট্রাপোল, সেখানে আজ শুধুই নিস্তব্ধতা।
একটি সরকারি সিদ্ধান্ত—বাংলাদেশ থেকে পাট ও পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ—তার অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী অর্থনীতি।
মে মাসে যেখানে পেট্রাপোল দিয়ে ৩৮৮৬টি ট্রাক প্রবেশ করেছিল, জুনে তা নেমে এসেছে ১৬৫৪-তে। সংখ্যাটা শুধু পরিসংখ্যান নয়—প্রতিটি ট্রাক মানে ছিল কয়েক ডজন মানুষের রুজিরুটি।
গুদাম ফাঁকা, দোকান বন্ধ, হোটেলে নেই অতিথি।
যে কুলিরা দিনের পর দিন গায়ে ঘাম ঝরিয়ে দেশের অর্থনীতিকে বয়ে নিয়ে যেতেন, তারা আজ কাজ না পেয়ে ঘরে ফিরছেন অপমানিত, ক্ষুধার্ত, শূন্য হাতে।
এই সংকট শুধু সীমান্ত বাণিজ্যের নয়—এ এক বৃহত্তর আঘাত পশ্চিমবঙ্গের আত্মপরিচয়ে।
কেন্দ্র সরকার কি তবে সচেতনভাবে পূর্ব ভারতের বাণিজ্যচক্রকে পঙ্গু করতে চাইছে?
নাকি এটি কোনো বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ?
আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে—
আপনারা আর কতদিন চুপ থাকবেন?
কীসের ভয় আপনাদের?
কেন এই নীরবতা, যখন হাজারো পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে?