বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালে। এর আগে চুক্তিটির শর্তাবলী পর্যালোচনা ও ভারতের স্বার্থ অনুযায়ী নতুন কাঠোমোতে চুক্তি নবায়নের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। ভারতীর সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা বলেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিলের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তির একাধিক বিকল্প অথবা এটিতে সংযোজন-বিয়োজনের ব্যাপারে ভাবছে দিল্লি।
গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ক চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। ৩০ বছর আগে ১৯৯৬ সালে এই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল। এখন নতুন করে চুক্তির বিষয়টি সামনে আসছে। যেখানে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমঝোতার প্রয়োজন। সেখানে ভারত সম্পূর্ণ নতুন একটি চুক্তি নিয়ে ভাবছে যেখানে তাদের ‘বর্তমান উন্নয়নমূলক বিষয়াবলীর’ বিষয়টি থাকবে।
বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী, ১১ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশ ১০ দিন অন্তর ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পায়। কিন্তু ভারত এখন এই সময়টিতে আরো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক অতিরিক্ত পানি চাচ্ছে। তাদের দাবি, কৃষি, সেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বন্দর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন হয়েছে।
ইকোনোমিক টাইমসের মতে, ভারতের কেন্দ্র সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার উভয়ই নতুন চুক্তির পক্ষে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তাদের ভাষ্যে, বর্তমানে তাদের পানির প্রয়োজনীয়তা পুরোনো চুক্তি পূরণ করতে পারছে না।
জেড নিউজ, ঢাকা।