বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান।
আজ রোববার ঢাকার রমনা বটমূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে র্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, জেলা-উপজেলা ও গ্রামপর্যায়ে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাই সব জায়গায় র্যাবের নিরাপত্তাবলয় বিস্তৃত করা হবে। যাতে সুন্দরভাবে সব জায়গায় এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়।
নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক শহিদুর রহমান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মাথায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন এসেছিল। পূজা হবে কি না, সেটা নিয়েও সংশয় ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পূজা উদ্যাপন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে। খুব সুন্দরভাবে পূজার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হয়নি। এরপর বিজয় দিবস, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনসহ যতগুলো অনুষ্ঠান হয়েছে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হয়নি।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছরের সব কটি অনুষ্ঠান নিরাপত্তা ও আনন্দ উৎসবের দিক থেকে সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো মোটিফ পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, চারুকলায় আগুন দেওয়ার ঘটনা সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কোনো গাফিলতি থাকলে সেটাও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে আগুন দেওয়া ঘটনা ঘটে। এতে চারুকলা অনুষদে নববর্ষের জন্য বানানো ২০ ফুট উচ্চতার ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ নামে মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। তার পাশেই রাখা ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফের একটি ডানা ও লেজের খানিকটা পুড়ে গেছে।