এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ঢাকার অপরাধ জগতের এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক এই অপরাধী কীভাবে দেশে ঢুকলেন, কোথায় বন্দী ছিলেন কিংবা সেখান থেকে কিভাবে ছাড়া পেলেন তা নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।
কমিশনের দাবি করেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গোপনে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার হাতে তুলে দেয়। বিনিময়ে তারা নেয় আরেকজন বন্দীকে। এই কাজটি অত্যন্ত গোপনে সারে দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থা।
কমিশন জানায়, গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ৫ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে ডিজিএফআই পরিচালিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল- জেআইসি থেকে তিনজন এবং র্যাব পরিচালিত টিএফআই সেল থেকে অন্তত পাঁচজন মুক্তি পান। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই সুব্রত বাইন।
কমিশন আরো বলছে, ইন্টারপোলের রেড নোটিশপ্রাপ্ত সুব্রতকে গোপনে ভারত থেকে এনে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত কেবল র্যাবের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এমন সিদ্ধান্ত তৎকালীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে বলেও ধারনা কমিশনের।এছাড়া ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার পর র্যাব এতোবড় সন্ত্রাসীকে কেন হত্যা করেনি এ বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে গুম কমিশনের পক্ষ থেকে।
জেড নিউজ, ঢাকা।