জেড নিউজ, ঢাকা।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল, কেবল এই পাঁচ বছরেই বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয় ২৭ হাজার ৪৭৯টি। এই সময়ের মধ্যে সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রী কিংবা ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপারধে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের জড়িতরা সবাই ছিলো ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
আইন ও শালিস কেন্দ্র-আসকের পরিসংখ্যান বলছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের আগের বছর ২০২৩ সালেই ৫৭৩ নারী ধর্ষণের শিকার হন। এসব ঘটনায় কোনো ধর্ষকেরই সঠিক বিচার হয়নি।
উপরন্তু পত্রপত্রিকার তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এসব ধর্ষকরা থেকেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
অতি সম্প্রতি দেশে ধর্ষণের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না এ নিয়েও এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের শিক্ষাঙ্গণে ছাত্রলীগের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে ধর্ষণ, হত্যা, লুটতরাজের মতো পাশবিক বিষয়গুলো। আর বিগত ফ্যাসিবাদের আমলে সারাদেশে এসব ধর্ষণকান্ডে জড়িতদের বেশিরভাগই ছিলো আওয়ামী লীগের।
ফলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির যে চক্রান্ত এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টি মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।