ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী; একই সাথে নিয়ন্ত্রণ করতেন দেশের পরিবহন সেক্টরও। তিনি পরিবহন সেক্টরের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত শাজাহান খান। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি এ খাতকে বানিয়েছিলেন অবৈধ সম্পদ অর্জনের হাতিয়ার।
শাজাহান খান সেই ব্যক্তি যিনি বলেছিলেন, ‘গরু-ছাগল চিনলেই একজন গাড়িচালক লাইসেন্স পেতে পারেন।’বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা, অদক্ষ চালকদের কারণে প্রাণহানি এবং নিম্নমানের গণপরিবহনের জন্য প্রধানত দায়ী করা হয় শাজাহান খানকে।
একই সাথে, বিরোধী দল দমনেও শাজাহান খান ব্যবহার করতেন পরিবহন সেক্টরকে। বিরোধী দল হরতাল বা অন্য কোনো কর্মসূচি দিলে গণপরিবহন চালু রাখার ঘোষণা দিতেন। আবার বিরোধী দলের সমাবেশে তিনি গণপরিবহন বন্ধ রাখতেন।
নিজে পরিবহন শ্রমিক না হলেও সংগঠনের নেতা সেজে এ সেক্টরে চাঁদাবাজির জন্য গড়ে তুলেছিলেন তার নিজস্ব পরিবহন সিন্ডিকেট। গত ১৫ বছরে পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির টাকায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে পরিবহন সেক্টরের ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ও তার সিন্ডিকেট। গত ৯ সেপ্টেম্বর দুদককে চিঠি দিয়ে ঢাকা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি তার বিরুদ্ধে গত চার বছরে প্রায় ৬ হাজার ৯৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, সড়কে চাঁদাবাজিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন শাজাহান খান। ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ২৪৯ শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে চাঁদা তোলা হয়েছে। এর একটি বড় অংশ নিয়মিত গেছে তার পকেটে।
অনতিবিলম্বে এসব অভিযোগের তদন্তপূর্বক পরিবহন মাফিয়া শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানান এ খাতের মালিক-শ্রমিকরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।