চব্বিশের বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো ভারতীয় মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা মোকাবিলা করা। দেশটি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে যে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা রেখেছে, তাতে অব্যাহত ভাবে নগ্ন সমর্থন দিয়ে গেছে দেশটির গদি মিডিয়া। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের সেই প্রোপাগান্ডা এখনো চলমান রয়েছে।
গদি মিডিয়ার টার্গেট ছিলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কল্পকাহিনী রটিয়ে অন্তবর্তী সরকারকে বিপদে ফেলা। তারা কোনো ঘটনাকে রংচং মাখিয়ে সেটিকে গুরুতর ঘটনা বানিয়ে হুলস্থুল কান্ড বাঁধিয়ে দিতে সচেস্ট থেকেছে। এই বিষয়টি গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশি মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা দীপক কুমার গোস্বামীকে। যিনি নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে।
ভারতীয় মিডিয়ার যে বয়ান সেটি ঘেঁটে দেখতে নিজেই নেমে পড়েন মাঠে। চষে বেড়ান কল্পিত ঘটনাস্থল, কথা বলেন নানান শ্রেণি পেশার মানুষ-ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। এরপর সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বানান ২৩ মিনিটের এক ডকুমেন্টারি। যেটি সম্প্রতি ভারতের স্বনামধন্য অনলাইন সংবাদমাধ্যম The Wire-এ প্রকাশিত হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় তার এই ডকুমেন্টারিটি প্রকাশের পর বিশ্ব জুড়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে।
তথ্যচিত্রে ভারতীয় মিডিয়ার মুখোশ খুলে দেন দীপক কুমার। এতে উপমহাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তাপ, বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক, ভারত-বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, মোদী-হাসিনা নেতৃত্ব এবং জুলাই প্রসঙ্গের জটিল আবহকে চিত্রায়িত করা হয়েছে।
পাশাপাশি হিন্দুরাও যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল সে বিষয়টি তুলে ধরে দীপক কুমার গোস্বামী প্রমাণ করেন, এটি কোন ইসলামী অভ্যুত্থান ছিল না, ধর্ম বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে এটা ছিল স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি অপরিহার্য অভ্যুত্থান। এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যার যে অভিযোগ গদি মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে সরেজমিনে গিয়ে তার স্বপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমান পাননি বলে ডকুমেন্টারিতে উল্লেখ করেন দীপক কুমার গোস্বামী।
জেড নিউজ, ঢাকা