ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ। আওয়ামী ক্ষমতার তালুকের সবখানেই ছিলো নৌকার জয় জয়াকার। জনগণের ভোটের পরিবর্তে দলীয় আনুগত্য আর অর্থের বিনিময়ে একবার প্রতীক বাগাতে পারলেই সে হয়ে গেছে কথিত জনপ্রতিনিধি। আর এই জনপ্রতিনিধিরাই লুটেপুটে খেয়েছে বাংলাদেশকে। তার ফলাফল চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং ক্ষমতালোভী হাসিনার দিল্লি পালিয়ে যাওয়া।
২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই ভোটের মাঠে কোনঠাসা হয়ে পড়েন সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিরা। তাদেরকে সাইডলাইনে রেখে সামনে চলে আসে অর্থলোভী, দুশ্চরিত্রবান, বখাটেরা। ফলে সমাজ থেকে উঠে যেতে থাকে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, রাজনৈতিক সহনশীলতা। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সারাদেশে ব্যাপক রাজনৈতিক সঙ্ঘাত সৃষ্টি হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় মারা যায় অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মী। এর কুফল বুঝতে পেরে পতনের আগে আওয়ামী লীগও এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলো। কিন্তু সেই সুযোগ তারা পায়নি।
এবার সেই উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বতী সরকার। আগামীতে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না করতে সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে সেই সুপারিশ অনুমোদনও করা হয়েছে বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
জেড নিউজ, ঢাকা