যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের বাজারে। মার্কিন বাজারে চীনা ও ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব ক্রেতাদের নজর এখন বাংলাদেশে।
এই পরিস্থিতি দেশের রফতানিমুখী পোশাক খাতকে নতুন সম্ভাবনার মুখে দাঁড় করিয়েছে। বাংলাদেশি তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা ও রফতানিকারকরা বলছেন, মার্কিন বাজারে চীনা ও ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে ক্রেতারা দ্রুত অর্ডার স্থানান্তর করছেন। এ সুযোগে বাংলাদেশকে নতুন বিনিয়োগ ও অর্ডারের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছেন। এই পরিস্থিতি শুধু রফতানি খাতেই নয়, বরং শিল্পে নতুন বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি করছে।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, চীন থেকে সরানো অর্ডার প্রবাহ আগামী মাসগুলোতে আরও বাড়তে পারে। ইউরোপীয় ক্রেতারাও বাংলাদেশে অর্ডার বাড়াতে আগ্রহী। সঠিক সহায়তা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি অর্জন করতে সক্ষম হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি হয়েছে ৮৬৯ কোটি ডলার, যার প্রায় ১৮ শতাংশ আসে মার্কিন বাজার থেকে। এর মধ্যে তৈরি পোশাকের অংশ ৭৫৪ কোটি ডলার।
জেড নিউজ, ঢাকা।