মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ব্যাপক হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় দেশটির অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেতে যাচ্ছে। এর স্পষ্ট প্রভাব পড়ছে পোশাক খাতে। উচ্চ শুল্কের কারণে ইতোমধ্যে বিদেশি কোম্পানিগুলো ভারতের পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। অ্যামাজন-ওয়ালমার্টের মতো কোম্পানি ভারত থেকে পোশাক আমদানি স্থগিত করেছে। এর সুফল পেতে পারে বাংলাদেশ। পার্ল গ্লোবালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় কারখানা স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে।
শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা শুল্ক নিয়ে ভারতের সঙ্গে আপাতত কোনো আলোচনা বসবে না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ভারত।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দফায় ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে ভারত। পোশাক ও স্বর্ণালংকার খাত বড় ধাক্কা খায়। আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে তাদের সমঝোতার সুযোগ রয়েছে। তবে সম্পর্ক তিক্ততার দিকে যাওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে আপাতত আর কোনো আলোচনা করবে না।
রয়টার্স জানায়, ভারতের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানি পার্ল গ্লোবাল ভারতে পণ্য উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। কোম্পানিটির গ্রাহকদের মধ্যে গ্যাপ ও কোহলস অন্তর্ভুক্ত। পার্ল গ্লোবাল ভারতীয় আমদানির ওপর মার্কিন অতিরিক্ত শুল্ক এড়িয়ে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও গুয়াতেমালায় তার ১৭টি কারখানায় উৎপাদন স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, শুধু পার্ল গ্লোবালই নয়, অন্য পোশাক প্রস্তুতকারক কেম্পানিগুলোও একইভাবে ভাবছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।