এক মাসের মধ্যে সংস্কার শেষে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনে অনড় বিএনপি। তবে এনসিপি স্পষ্ট করে বলেছে, আগে জুলাই সনদ ঘোষণার পরে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ দিতে হবে। অন্যদিকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে ভোট আয়োজনের কথা বলেছে জামায়াতে ইসলামী।
দেশের ৩০টির রাজনৈতিক দলের সাথে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে এসব দাবি তুলে ধরে রাজনৈতিক দলগুলো।
বিকেল পাঁচটার কিছু আগে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়। এই বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের অন্য সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরু ও শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক ইউনূস এই বৈঠকে বলেন,”আমরা তো এমন বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনীতি সৃষ্টি করি নাই। আমরা সৃষ্টি করেছি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য। দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য”।
সবার মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে জুলাই সনদ করার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “যতগুলো ঐকমত্যের বিষয় আছে সেগুলোতে যেন আরো কিছু যোগ করতে পারি, তাহলে দেখতে সুন্দর লাগবে, জাতীয় একটা সনদ হলো”।
এই বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপি, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী, নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপিসহ বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেয়।
ঐকমত্যে পৌঁছাতে মঙ্গলবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠকে বসবে ঐকমত্য কমিশন।
গত ২০শে মার্চ থেকে দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে প্রথম পর্বের আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম পর্বের আলোচনা শেষ হয় ১৯শে মে। সোমবারের এই বৈঠক থেকে শুরু হলো দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা।