Thursday, July 10, 2025
More
    Homeঅর্থনীতিট্রাম্পের শুল্ক এড়ানো গেল না, কী করবে বাংলাদেশ?

    ট্রাম্পের শুল্ক এড়ানো গেল না, কী করবে বাংলাদেশ?

    দেশটির প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা ও দরকষাকষি শেষে চুক্তি করতে ‘দুর্বলতা’ দেখছেন ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।

    যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে প্রথম দফায় উচ্চ হারের শুল্কারোপের পর পাওয়া তিন মাসে সুবিধা করতে পারেনি সরকার। এখন দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের ওপর যে চাপ তৈরি হতে যাচ্ছে, তা এড়াতে ডনাল্ড ট্রাম্প যে দুয়ার খোলা রেখেছেন সেটি এবার জোরেশোরে কাজে লাগানোর তাগিদ এসেছে ব্যবসায়ী নেতা ও বিশ্লেষকদের তরফে।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্কহার ঘোষণার পর তা স্থগিতের আগের সময়কাল পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে ‘বাণিজ্য ঘাটতি’ যেমন কমাতে পারেনি বাংলাদেশ, তেমনি দেশটির প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা ও দরকষাকষি শেষে চুক্তি করতেও ‘দুর্বলতা’ দেখছেন তারা।

    একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজারে উচ্চ শুল্কের এ গ্যাড়াকল এড়াতে এখন আগের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে দ্রুত আলোচনা শুরুর পরামর্শ তাদের। তা না হলে ভিয়েতনাম, চীন এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের কাছে বাজার হারানোর শঙ্কা ভর করেছে রপ্তানিকারকদের অনেকের মধ্যে।

    যুক্তরাষ্ট্রের আট বিলিয়ন ডলারের বাজার ছাড়াও ইউরোপের বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কাও দেখছেন কেউ কেউ।

    অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ঠেকানো, শিল্প ও কর্মসংস্থান রক্ষায় নতুন উদ্যোমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা চান ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।

    প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর তরফে এ আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তারা প্রধান উপদেষ্টার সময় চেয়ে যোগাযোগ করেছেন।

    এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে চুক্তি প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শও এসেছে ব্যবসায়ীদের দিক থেকে।

    পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্যে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নিজস্ব প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বৈচিত্রকরণে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন একজন অর্থনীতিবিদ।

    তবে ট্রাম্পকে মানানোর সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাণিজ্য উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিলে নতুন দফার আলোচনা শুরু করতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন বাণিজ্য সচিব।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন আরেকটি প্রস্তাবের খসড়া দিয়েছে। সেখানে শুল্কারোপ নিয়ে আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় দেশটির সাউথ এশিয়া ন্যাশন ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার ও সিকিউরিটি অ্যাডভাইজারকে দায়িত্ব দিয়েছে ইউএসটিআর (অফিস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টাটিভ)।

    সব ধরনের বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

    এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, এখন নতুন করে আরও ৩৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এটি দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে।

    সব ধরনের বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশের বদলে ৩৫ শতাংশ বাড়িত শুল্ক আরোপের ঘোষণা এসেছে এবার, যা ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে।

    এতে চাপে পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। একক দেশ হিসেবে পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র।

    এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিযোগী ভারত, পাকিস্তানের শুল্কারোপ বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলক কম হয়েছে নতুন সিদ্ধান্তে। দাম তুলনামূলক কম হলে ক্রেতারা সেখানে চলে যাওয়ার শঙ্কা তাদের।

    “যেহেতু বর্তমানের সঙ্গে বাড়তি আরও ৩৫ শতাংশ যোগ হয়েছে, তাহলে তো বলবই নেগোসিয়শনে ‘দুর্বলতা’ ছিল,” বলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

    যদি বর্তমানের শুল্ক বাদ দিয়ে সাকুল্যে এই ৩৫ শতাংশ হত, তাহলে ‘ভালো নেগোসিয়েশন হয়েছে’ বলে তার ভাষ্য হত বলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তুলে ধরেন।

    তার ভাষ্য, “সবাই রেজাল্ট দেখে, ঠিক আছে না? আপনি ৯০ মিনিট ভালো খেললেন। শেষে গোল খাইলেন। তো ভালো খেললেন না খারাপ খেললেন, কেউ দেখবে না আর। আপনি জিততে পারেন নাই তাইই দেখবে সবাই।”

    দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘দরকষাকষিতে’ বাংলাদেশের বড় মাত্রায় ‘দুর্বলতা’ আগে থেকেই বলে তুলে ধরেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‍্যাপিড) চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন“আমাদের কিন্তু সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় মাত্রায় দুর্বলতা আছে। আমাদেরতো আসলে কোনো এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) নাই। আমাদের কোনো বাণিজ্য চুক্তি নাই কোনো দেশের সাথে।

    “তার মানে আমরা তো ওই সমঝোতার মধ্যেই কোনো সময় ছিলাম না। এটা আমাদের একটা দুর্বলতা।”

    এবার যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের বেলায় যে ‘নিব্ড়ি আলোচনা’ হতে পারত তাও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে হয়নি বলেও তিনি মনে করছেন।

    “আমাদের এখন এই ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে যে আরেকটু নিবিড় আলোচনা হতে পারত। বিভিন্ন অংশীজনের যারা আছে তাদের মধ্যে, ওই আলোচনাটা হয় নাই।”

    বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশ ট্রাম্পের এই নতুন শুল্ক খড়্গে পড়েছে। অন্যদিকে পোশাক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে শুল্ক নামিয়ে এনেছে। ভারতও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

    ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর গত ২ এপ্রিল শতাধিক দেশের ওপর চড়া হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের ওপর বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা আসে।

    এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে ডনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয় সেখানে।

    যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয় বাজেটে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।

    তবে তাতে ট্রাম্পের মন গলানো যায়নি। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ যে অনেক বড়, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “…বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে বহু বছর ধরে আমরা আলোচনা করেছি এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বাংলাদেশের শুল্ক, অশুল্ক নীতি ও বাণিজ্য বাধার ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদী ও অত্যন্ত স্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতি থেকে আমাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে।

    “দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের সম্পর্কটি সমকক্ষ হওয়া থেকে অনেক দূরে।”

    তিন মাসে কী করল সরকার?

    বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়ে গত ২ এপ্রিল একপ্রকার একতরফা বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করে বসেন ডনাল্ড ট্রাম্প। শতাধিক দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশও বড় ধাক্কা খায়। তখন প্রথমে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে নিজেই কথা বলবেন; পরে চিঠি লিখে তিন মাস সময় চাইলে তা দেওয়া হয় বাংলাদেশকে। উচ্চ শুল্কের এই হার কমাতে তখন বেশ কিছু উদ্যোগ দেখা যায় বাংলাদেশের তরফে।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পণ্যের শুল্ক বিশ্লেষণ করে ছয় শতাধিক পণ্যে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এসব কাগজে-কলমে থাকলেও বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যে আমদানি বাড়াতে হবে তার বাস্তবিক প্রতিফলন দেখা যায়নি এই তিন মাসে।

    চলতি অর্থবছরের বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ‘সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার’ অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়।

    এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।

    ‘কমপ্লায়েন্স’ ঘাটতি থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে এফটিএ করবে বাংলাদেশ সেই সক্ষমতাও নেই বলেই বিশ্লেষকদের মত।

    শুল্কে ছাড় দিলেও বাণিজ্য ঘাটতি না কমার ব্যাখ্যায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মনীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যক্তি খাতকে তো আমরা জোর করেতো আর আমদানি বাড়াতে পারি না। তার যেখান থেকে সুবিধা হয় সেখান থেকে আমদানি করবে। সরকার কিছু আমদানি করে। সেটা সরকার কিন্তু বলেছে যে আমরা গম বেশি আনব বা সরকারের কিছু কেনাকাটা আছে যেটা তারা বলেছে যে সেগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনার চেষ্টা করব।

    “কিন্তু বাংলাদেশের তো অন্য দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে সেখানেওতো ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”

    বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এফটিএ করার জন্য ‘প্রস্তুত না’ তুলে ধরে অর্থনীতির এ বিশ্লেষক বলেন, “সরকার যেটা করতে পারে সেটা হল ফিসকাল পলিসি। সেটা সে করেছে। বিভিন্ন পণ্যে শূন্য শুল্ক করেছে। এখন যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে যে তুমি আমার ক্ষেত্রেও শূন্য করেছ, অন্যদেরও তো শূন্য করেছ, তো আমার কি লাভ হইল।

    “এখানে তো বাংলাদেশ ডব্লিউটিএর সদস্য। এটা বাংলাদেশ পারে না। তো আমরা যদি ফ্রি ট্রেড করতাম (এফটিএ) তাহলে ফ্রি ট্রেডে আমরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা আমরা দিতে পারি। সেটা তো আর আমরা করি নাই বা আমরা প্রস্তুত না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত একটা দেশের সাথে এত কমপ্লায়েন্স এনশিওর করে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা।”

    বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পদক্ষেপ না নিলেও বাকিসব চেষ্টা করে যাওয়ায় ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শূল্ক আরোপের ‘ন্যায্যতা’ থাকে না বলে মনে করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

    তার মতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতিও ‘তুলনামূলক কম’।

    মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এটা ঠিক যে আমাদের এখানে ঘাটতি মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার, আর ভিয়েতনামে ১২৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ভিয়েতনামকে মোটামুটি কনশেসন দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এত কম ডেফিসিট বা ঘটতি, তবুও আমাদের ওপর এত শুল্ক দেওয়ার কোনো জাস্টিফিকেশন থাকে না। আমরা আরও নেগোশিয়েট করব।”

    তার আশা দরকষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করাতে সক্ষম হবে সরকার।

    সংকুচিত বাজারে বড় প্রতিযোগিতা

    যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকই ৭৩৪ কোটি ডলারের।

    ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের মূল প্রভাব বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের সিংহভাগ আয় আসা পোশাক খাতে পড়তে তা সহজেই বোঝা যায়। এর সঙ্গে যোগ হবে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির বিষয়টিও। তারা যদি দরকষাকষি করে তাদের ঘাড়ের ওপর থেকে শুল্কের বোঝা কিছুটাও কমাতে পারে তাতে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে ছিটকে পড়বে বাংলাদেশ।

    বিজিএমইএ সভাপতি তাই এটির প্রভাব ’ব্যাপক’ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন। বলেন, “আমাদের এ খাতের ২০ শতাংশ আমাদের বিজনেস তাদের সাথে। এর ফলে তাই আমরা ব্যাপক প্রতিযোগিতার মুখে পড়ব। আর ব্যক্তি ক্ষতি বেশি হবে তাদের যাদের রপ্তানির মূল গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজার।”

    প্রতিযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরে বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, “আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্দোনেশিয়া, তার ওপর শুল্ক বসাইছে ৩৬ শতাংশ। শার্টে তারা আমার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। তো এটা আসলে আমাদের খুব বেশি চিন্তার জায়গায় আসে না।

    “মেইনলি যেটা হবে, চায়না এবং ইন্ডিয়ার সাথে ট্রাম্প কী সমঝোতা করে, তার ওপর বেইস করে আমরা বলতে পারব আমাদের এটা কোথায় যাবে। তার আগে আমার মনে হয়, এখনও কমেন্টস করার সময় আসেনি।”

    ভিয়েতনাম চুক্তি করে ফেলেছে, সেক্ষেত্রে তারা একটু বেশিই এগিয়ে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “ভিয়েতনাম আমাদের নতুন ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল এসবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের জায়গা হবে কিন্তু পোশাকের ক্ষেত্রে খুব বেশি হবে না। কারণ তার সক্ষমতা কম। সক্ষমতা ওই পরিমাণ করতে পারবে না যে আমার অর্ডার সে নিয়ে যাবে।

    “কারণ চীনের যদি বেশি থাকে তাহলে চীনের অর্ডার ভিয়েতনামে মুভ করবে, আমার অর্ডার ভিয়েতনামে মুভ করার সম্ভাবনা থাকবে না।”

    চীন ও ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে সুবিধা না করতে পারলে বাংলাদেশের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে না বলেই তার ভাষ্য।

    তবে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বেড়ে তাদের বাজার সংকুচিত হয়ে পড়বে। সেই ছোট হয়ে যাওয়া বাজারে বড় প্রতিযোগিতায় পড়বে বাংলাদেশ বলে তুলে ধরেন কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির সাবেক প্রধান এম এ রাজ্জাক।

    প্রতিযোগী দেশগুলো শুল্ক ছাড় পেলে বাংলাদেশের ‘সরাসরি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে’ বলেও মনে করছেন তিনি।

    ভিয়েতনাম পারলে বাংলাদেশ কেন নয়?

    ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভিয়েতনাম নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। তাদের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে, এপ্রিলে যা ছিল ৪৬ শতাংশ।

    ভিয়েতনাম এখন নাইকি, অ্যাপল, গ্যাপ, লুলুলেমন-এর মত বড় কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

    অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রফেসর ইউনূস চিঠি লিখেছিলেন কিছু অফার দিয়ে। তারপরে আমরা বাজেটেও আলাদা এনেক্স করে দিলাম। তবে আমরা কী দিয়েছি, তারা কী চেয়েছে, তারা যে ফ্রেমওয়ার্ক একটা এগ্রিমেন্ট পাঠিয়েছিল, সেইটাতে কী ছিল এগুলা তো আর আমরা জানি না।

    “সেখানে নাকি একটা নন ডিসক্লোজার ক্লজ ছিল। তো যাইেই হোক তো সেটার জন্য এখানে কোন টিমও করা হয় নাই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যারা ছিল তাদেরকে নিয়ে।”

    ফলে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুর্বলতাই দেখে ২ শতাংশ শুল্ক কমানোকে আমলেই নিচ্ছেন না তিনি।

    তার ভাষ্য, “বলা উচিত হল, যে মোটামুটিভাবে কোন পরিবর্তন পরিবর্তন হয়নি এই তিন মাসে। এইভাবেই জিনিসটাকে দেখা উচিত।”

    সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করায় এ বিষয়ে তাদেরও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। কারেও সহযোগিতাও নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

    একই মন্তব্য অর্থনীতিবিদ রাজ্জাকেরও। তার ভাষ্য, “বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যারা আছে তাদের মধ্যে নিবিড় আলোচনাটা হয় নাই। এখন ওই আলোচনাটা হয় নাই। এটার একটা ব্যাখ্যা হতে পারে, অনেকে বলার চেষ্টা করেছেন যে সরকারের কাছে এই শর্ত ছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত বাংলাদেশে দিতে চায় এগুলো নিয়ে পাবলিকলি আলোচনা করা যাবে না।

    “এর ফলে তারা হয়তো সবাইকে নিয়ে আলোচনাটা করতে পারেন নাই। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে আমরা কিন্তু সমঝোতা করতে পারতাম। কেননা ভিয়েতনামের সঙ্গে তো তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ডিল করেছে।”

    তবে ভিয়েতনামের শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে তারা যেসব শর্ত আমলে নিয়েছে তা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘এফোর্ট’ করা সম্ভব ছিল না বলেও তার মত।

    তিনি বলেন, “ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সব পণ্যে বিনাশুল্কে আমদানির সুযোগ দিয়েছে।

    “এইটা কি বাংলাদেশে আমরা এফোর্ড করতে পারব? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে এত বড় বড় গাড়ি বানায়, এই গাড়িগুলা যদি আপনি সব শুল্ক মুক্ত করে দেন, তাহলে এগুলা যে পরিমাণ আমদানি হবে এটা দেশে ম্যানেজ করতে পারবে না।

    “আমাদের রিজার্ভ কম। আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয় আছে। আর বাণিজ্যিক ব্যাপারে যদি আপনি একটা দেশকে একটা সুবিধা দেন, অন্যদিকে না দেন, অন্য দেশ তো আপনার উপর চাপাচাপি করবে। সেটাও তো একটা চ্যালেঞ্জ হবে।”

    তবে ভিয়েতনামের ওপর এ শুল্ক ছাড় বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন অসুবিধা হবে না বলেও তিনি তুলে ধরেন।

    বলেন, “ভিয়েতনাম যে রপ্তানি করে সেই রপ্তানির বড় একটা অংশ আসে কিন্তু চীন থেকে। মানে চীন থেকে তারা তুলা-সুতা কাপড় এগুলো সব আমদানি করে তাদের কারখানায় নেয়।

    “ট্রাম্প সেখানে কিন্তু বলেছে যে যদি ট্রান্সশিপমেন্ট করে চীন থেকে যদি ইম্পোর্ট করে তাহলে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে। ওটাও কিন্তু একটা বিষয়, আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। এটা খুবই ‘কমপ্লেক্স একটা কেস’।”

    কী করতে পারে বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের সঙ্গে আর যেসব দেশ শুল্কের খড়গে পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মালয়েশিয়া, তিউনিসিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়েছে মিয়ানমার ও লাওস।

    নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করলেও প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ডনাল্ড ট্রাম্প আলোচনার দুয়ার খোলা রাখার কথা বলেছেন।

    যেসব দেশ আরও ছাড় দিতে রাজি, তাদের প্রতি সদয় হবেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, “পরিস্থিতি বুঝে কিছুটা সমন্বয় করা যেতে পারে… আমরা অবিচার করব না।”

    এমন অবস্থায় আবার নড়েচড়ে বসেছে সরকার। ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে দেরিতে আলোচনা শুরু করলেও নতুন করে আবার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

    বাণিজ্য উপদেষ্টার শেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে একটা প্রতিনিধি দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে অব্স্থান করছেন। তারা নতুন করে আলোচনার বসবেন। এ আলোচনায় অংশ নেবেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানও। এজন্য তার মঙ্গলবারই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা।

    মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন করে একটি চিঠি দিয়েছেন যেখানে বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সেটির কার্যকারিতা দেওয়া হয়েছে ১ আগস্ট থেকে। এর সাথে তারা আগের ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্টের যে খসড়া পাঠিয়েছিল তার ওপর আমাদের রেসপন্স আমরা পাঠিয়েছি। সেটার ওপর আমাদের কয়েক দফা মিটিং হয়েছে।

    “ভার্চুয়ালি আমি যুক্ত ছিলাম সবগুলো মিটিংয়ে। আমাদের উপদেষ্টা ওখানে আছেন। আমাদের সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার ছিলেন মিটিংগুলোতে। এরপর আজকে আমরা যে ডকুমেন্ট পেলাম, এটার ওপর মূলত আলোচনা হবে আগামী ১০ এবং ১১ জুলাই। সেই সভায় যোগদান করতেই মূলত আমি আজকে যাচ্ছি।”

    বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে উড়োজাহাজ এবং সামরিক যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার কথা তিনি তুলে ধরেন।

    আলোচনায় সরকারের যুক্তিগুলো কী কী থাকবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মোটাদাগে আমাদের যুক্তিগুলো থাকবে প্রথমত শুল্ক কমানো এবং দ্বিতীয়ত আমাদের ট্রেড রিলেটেড যে ইস্যুগুলো আছে সেগুলোতে আমরা যেন অসুবিধাজনক পরিস্থিতিতে না পড়ি। বাংলাদেশের জন্য আমাদের প্রধান বিবেচ্য বিষয় বাণিজ্য স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য রক্ষা করা।

    “আমাদের কাছে তারা কিছু জিনিস চেয়েছে, সেটা হল শুল্ক কমানো। পর্যায়ক্রমে শুল্ক, ভ্যাট, সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি এগুলো যেন আমরা কমাই। সে ধরনের প্রস্তাব তারা করেছে। আমরা সেটা এনবিআরের সাথে আলোচনা করার পরে, সরকারের অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

    সচিব বলেন, “সরকারি খাতে যেসব খাদ্যশস্য কেনা হয় সেক্ষেত্রে আমরা আমেরিকাকে একটু প্রাধান্য দেব। এভাবে আমরা আসলে আমেরিকান ট্রেডটা বাড়াবো। আমাদের সামরিক সরঞ্জামের একটা বড় অংশ আসে আমেরিকা থেকে। সে সমস্ত ক্ষেত্রও আমাদের বিবেচনায় আছে।”

    বিষয়টির সুরাহা করতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলার কথা জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টাও আশার কথা শোনান। বলেন, “বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। ওদের সঙ্গে আরেকটা মিটিং আছে। ইউএসটিআরের সঙ্গে যখন আনুষ্ঠানিক আলাপ করবে, তখন আমরা বুঝতে পারব। মিটিংয়ে যে সিদ্ধান্তই আসুক, সেটার প্রেক্ষিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

    “এখন বৈঠকটা কিন্তু মোটামুটি পজিটিভ হবে। চিঠি একটা প্রেসিডেন্ট দিয়েছে। এখন ওয়ান টু ওয়ান নেগোশিয়েশন হবে।”

    সমঝোতার ক্ষেত্রে কী গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ জানতে চাইলে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, “সমঝোতা করার জন্য আমাদের কাছে তো টুলস থাকতে হবে। বাংলাদেশের কাছে, আমার কাছে তো খুব বেশি টুলস ছিল না। আছে যা তার মধ্যে সমঝোতা করতেছে, এখনও শেষ হয় নাই।

    “আরও তিন-চারদিন তো আছে। দেখা যাক, এর মধ্যে কী হয়।”

    বিজেএমইএ সভাপতি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের কাছে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমরা মনে করি যেহেতু এখন তিন সপ্তাহ সময় আছে, এ সময়ের জন্য ইউএস লবিস্ট নিয়োগ করতে পারি অতিরিক্ত। অর্থ্যাৎ বাণিজ্য উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং তাদের সকল ‘এফোর্ট’ এর বাইরে লবিস্ট নিয়োগ করতে পারি।”

    অর্থনীতিবিদ রাজ্জাক বলেন, “আমাদেরকে ক্রমাগত প্রস্তুতিটা নিতে হবে যে আমরা কী দিতে চাই, কোন পদক্ষেপ নিতে পারব কিংবা অন্য কোনভাবে তাদের বোঝানো যায় কিনা। সেই জায়গাগুলো একটু ভালো করে চিন্তা করে দেখা।”

    অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর বলেন, “এখন আরও দুই-তিন সপ্তাহ আছে। তিন সপ্তাহে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আর একটু দেখা যে তারাও কিছু নমনীয় হয় কিনা। আমাদেরও আর কিছু দেওয়ার আছে কিনা, সেটা দেখা।

    “এবং সেই অনুযায়ী মধ্যমেয়াদে আমাদের আসলে নিজস্ব প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কীভাবে বাড়াতে পারি, বাজার বৈচিত্রকরণ করতে পারি, এগুলোর দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।”

    বাংলাদেশের আলোচনার মাধ্যমে ২০ শতাংশের আশেপাশে শুল্কে নামিয়ে আনার পক্ষে মত দেন তিনি।

    প্রধান উপদেষ্টার সময় চেয়েছে বিজিএমইএ

    বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে সময় চেয়ে যোগাযোগ করেছেন। তারা সরকারের পাশাপাশি প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে পরবর্তী আলোচনায় ভূমিকা রাখতে চান।

    তিনি বলেন, ‘‘সরকার তো আলোচনা করেছে। কয়েকটি দেশ আরো আগ থেকেই শুরু করায় কিছুটা সফলও হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার সুযোগ রেখে নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। সেই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে। আমরাও তাতে ভূমিকা রাখতে চাই।’’

    মাহমুদ বলেন, ক্রেতা জোটের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন দেশের উদ্যোক্তরা।

    সর্বশেষ

    ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

    জেড নিউজ, ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে...

    পাকিস্তানে মেদ ঝরাতে গিয়ে প্রয়াত আইসিসির আফগান আম্পায়ার

    আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার বিসমিল্লাহ জান শিনওয়ারি আর নেই।...

    গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত

    গাজা উপত্যকায় ইরায়েলের চালানো হামলায় ভোর থেকে এ পর্যন্ত...

    জুলাইয়ে প্রাণঘাতী ক্র্যাকডাউনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, ফাঁস হওয়া অডিও...

    দেশে গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ...

    আরও সংবাদ

    ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

    জেড নিউজ, ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে...

    পাকিস্তানে মেদ ঝরাতে গিয়ে প্রয়াত আইসিসির আফগান আম্পায়ার

    আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার বিসমিল্লাহ জান শিনওয়ারি আর নেই।...

    গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত

    গাজা উপত্যকায় ইরায়েলের চালানো হামলায় ভোর থেকে এ পর্যন্ত...