“অপ্রদর্শিত আয়ের করের সঙ্গে আরও জরিমানা যোগ করে তা রাখা যেতে পারে,” বলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
নতুন অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ তুলে দেওয়া যেতে আরে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
শনিবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “ইচ্ছা করেই দু-একটা জায়গায় এমনটা করে রেখেছে, যেন আলোচনার সুযোগ থাকে।
“এর একটা হলো কালো টাকা। কালো টাকা নিয়ে তো বেশ আলোচনা হলো। আমাদের এই সরকারের ভিত্তিই তো হলো সবার সমর্থন ও নৈতিকতা। কাজেই এ কালো টাকা বাজেটে রাখা হয়েছে, এটা যে থাকবে এমন তো কথা নেই।”
তিনি বলেন, “কেউ হয়ত ৫ কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছে। রেজিস্ট্রি দলিল অনুযায়ী এক কোটি টাকা দাম হবে। ওই এক কোটি কালো টাকা সাদা হওয়ার কথা। ওই এক কোটি টাকাও যদি সে দেখাতে না পারে, তাহলে এটা থাকার তো কোনো দরকার নাই; তুলে দেওয়া হোক।”
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন,সরকার চেষ্টা করছে এটা তুলে দিতে। নইলে অপ্রদর্শিত আয়ের করের সঙ্গে আরও জরিমানার বিধান করে তা রাখা যেতে পারে।
“তুলে দেওয়া হবে অথবা এটাকে (কালো টাকা) অপ্রদর্শিত আয় হিসেবে দেখিয়ে উচ্চতম যে করের হার তার সঙ্গে অন্তত ৫ শতাংশ তো যোগ করা উচিত পেনাল্টি। সে রকমভাবে যদি রাখা যায় তাহলে রাখা যেতে পারে।”
উপদেষ্টা মনে করেন, সরকারের সামাজিক সুরক্ষার যারা উপকারভোগী, তাদের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ যোগ্য নন। তারা হয়ত ভুতুড়ে, নয়ত তারা রাজনৈতিকভাবে এর মধ্যে ঢুকেছে। এদের বিষয়েও সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করছে।
“উপকারভোগীদের বৈঠকে ডাকতে হবে, যেন তারা আসেন। যারা ওই কার্ড পাওয়ার যোগ্য না, তারা ওই বৈঠকে আসবেই না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রার বানানো হচ্ছে। যতটুকু পারা যায়, ডিসিদের মাধ্যমে যাচাই করা।”
তিনি বলেন, “আরেকটি হল, পরিকল্পনা কমিশন থেকে আমরা ঠিক করেছি, অন্তত কিছু জায়গায় পাইলটিং করে দেখা। সেক্ষেত্রে এনজিওর সহায়তায় মাঠ পর্যায়ে বৈঠক করে অন্তত এটা দেখা যে, কারা যোগ্য নয়।”
নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ঢাকার একটি হোটেলে এ সভা করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাপিড। এতে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক ও র্যাপিড চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।