দেশে গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে। তাই ভরসা বাড়ছে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, এলএনজির ওপর। বর্তমানে বিদ্যামান গ্যাসের চাহিদার ত্রিশ শতাংশের বেশি পূরন করছে এলএনজি। এলএনজির দাম বাড়ছে বিশ্ব বাজারে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে এলএনজি আমদানি ব্যহত হতে পারে। এটি হলে দেশে গ্যাসের সংকট বেড়ে যাবে।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবারহ পেলে রেশনিং করে অর্থাৎ এক খাতে কমিয়ে আরেক খাতে বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। তবে, দেশে এখন গ্যাসের সরবারহ হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট। ফলে থেকে যাচ্ছে সংকট। এরমধ্যে এলএনজি সরবরাহ কমলে ভুগবে বিদ্যুৎ, আবাসিক ও শিল্প খাত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজি ছাড়া চাহিদার কাছাকাছি গ্যাস সরবরাহ ধরে রাখা যাবে না। ইরান-ইসরায়েল সংঘাত দীর্ঘ হলে বা ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে এলএনজি সরবরাহ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের সংকট বিবেচনায় নিয়ে শিগগিরই এলএনজির নতুন উৎস খুঁজে বের করতে হবে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।