ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশত্যাগ করলে, ভঙ্গুরপ্রায় এই বাংলাদেশের দায়িত্ব কাঁধে নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৮ আগষ্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি শপথ নেন এবং শুরু করেন দেশকে আর্থিক সংকট থেকে টেনে তোলার যুদ্ধ।মাত্র আট মাসের মধ্যে এলএনজি আমদানির বকেয়া বিল ৬৬৫.৭৬ মিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলারে। এরই মধ্যে মার্কিন কোম্পানি শেভরনের ২৩৭.৫৫ মিলিয়ন ডলার ও কাতার-ওমানের ৩১৭.৪৮ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নেতৃত্বে এই খাতে বিশাল অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিল পরিশোধে দেরি হওয়ার কারণে শুধু যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল তা নয়, বিশাল অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হচ্ছিল।অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে সেই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। ব্যাংকগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশেষ করে প্রবাসীদের রেমিটেন্স এই সাফল্যের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
যেখানে পতিত হাসিনা দেশের অর্থ লুট করে বিদেশে পাচারে ব্যস্ত ছিলেন, সেখানে ড. ইউনূস তাঁর সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় মাত্র আট মাসেই একটি ভিন্ন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখ থেকে বেরিয়ে আজ বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে। এটি কেবল একটি অর্থনৈতিক নয়, প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
জেড নিউজ, ঢাকা।