জুলাই বিপ্লবীদের হাসপাতাল আর ট্রমার মধ্যে রেখেই দেশে চলছে নির্বাচনী আলাপ। এতে সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপি ও সমমনাদের। যদিও প্রায়োজনীয় সংস্কার ও অসুস্থ্যদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে।
শনিবার একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত তরুণদের ৬৪ দশমিক ১ শতাংশই আঘাতজনিত মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। পৃথিবীর অন্যতম নৃশংস রুয়ান্ডা গণহত্যার সার্ভারভাইদের তুলনায় এই হার প্রায় দেড় গুণ বেশি।
এছাড়া বিষণ্নতায় আক্রান্তের হারও রুয়ান্ডার তুলনায় ১ দশমিক ৮ গুণ ছাড়িয়েছে। জুলাইয়ের আহতদের ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণ বিষণ্নতায় ভুগছেন বলেও জানায় ওই দৈনিকটি।পিয়ার রিভিউড মেডিকেল জার্নাল কিউরিয়াসে প্রকাশিত গবেষণার সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়- বিএমইউ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ- ঢামেক ও পাবনা মানসিক হাসপাতালের একদল গবেষক গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২১৭ জন আহতের ওপর পরিচালিত গবেষণায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ৭৫, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের-নিটোর ৬৫ এবং বিএমইউতে চিকিৎসাধীন ৭৭ জন অংশ নেন।অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই ছিলেন ২০-২৯ বছর বয়সি তরুণ। এছাড়া ৯৭ দশমিক ২ শতাংশ ছিলেন পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী রয়েছে বলে পত্রিকার খবরে উল্লেখ করা হয়।
জেড নিউজ, ঢাকা।