Monday, July 28, 2025
More
    Homeঅর্থনীতিজুলাই নিহতদের ফ্ল্যাট: ‘যথাযথ’ ব্যয় না ধরায় একনেকের ‘না’

    জুলাই নিহতদের ফ্ল্যাট: ‘যথাযথ’ ব্যয় না ধরায় একনেকের ‘না’

    মিরপুরে ৭৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৫৫ বর্গফুট আয়তনের ৮০৪টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের এ প্রকল্পের ব্যয় প্রস্তাবে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহতদের পরিবারের জন্য রাজধানীতে ফ্ল্যাট নির্মাণের একটি প্রকল্পে বাড়তি ব্যয়ের প্রস্তাব এবং তাতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সেটি ফিরিয়ে দিয়েছে সরকার।

    রোববার চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) প্রথম সভায় এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য তোলা হলেও তা অনুমোদন পায়নি। ‘যথাযথভাবে এটার খরচের মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ’ বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

    বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য দেন।

    প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা হয়।

    ফ্ল্যাট নির্মাণের এ প্রকল্প আটকে গেলেও একনেক সভায় এদিন মোট ৮ হাজার ১৪৯ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

    পরে ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, “আজকের একটা প্রকল্প এসেছিল প্রথমেই, সেটা হল যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের জন্য। এটা গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল। এটাতে মিরপুরে কিছু ১৩৫৫ বর্গফুট আয়তনের ৮০৪টি আবাসিক ফ্ল্যাটের পরিকল্পনার একটা প্রস্তাব এসেছিল।

    “এটা একটা ভালো উদ্যোগ বলে আমরা মনে করেছিলাম। কিন্তু এটা আমরা এখন গ্রহণ করিনি। তার কারণ আমরা এটার কাগজপত্রগুলো দেখে আমাদের মনে হয়েছে, টেন্ডারে যাওয়ার আগে এটার ‘যথাযথভাবে’ এটার খরচের মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ।”

    একনেকে উত্থাপিত প্রস্তাবে দেখা যায়, ’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২৪ এ শহীদ পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান প্রদানের নিমিত্ত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে ‘৩৬ জুলাই’ আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের জন্য এর মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল এ বছরের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন।

    পরিকল্পনা কমিশনে গত ১৬ জুন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটিরে বাস্তবায়নে নানা জটিলতার কথা তুলে ধরা হয়।

    পরে এর প্রাথমিক তদন্তে বিভিন্ন ব্যয়ে বাড়তি খরচ ধরা হয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়।

    এ প্রকল্প এখন বাদ দেওয়ার ব্যাপারে আরেকটি যুক্তি হিসেবে উপদেষ্টা বলেন, “এছাড়াও আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পরিবারগুলোর মধ্যে আসতে থাকলে কোথায় যে ফাঁক আছে আর কোথায় যে দুটো একত্র হয়ে যাচ্ছে এগুলো বোঝা যাচ্ছে না।

    “কাজেই এখন থেকে আমি মনে করছি এই প্রকল্প এবং আরো যেসব প্রকল্প আছে… আর তাছাড়া ওসব পরিবারের জন্য ভাতার যেসব ব্যবস্থা আছে, এগুলো সবগুলো এবং যারা পঙ্গু হয়েছেন তাদের পঙ্গুদের জন্য যেইসব সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, এগুলো সবগুলোকে এক জায়গায় এনে ‘সমন্বিত’ করা উচিত।

    “এবং সেখান থেকে তখন ঠিকভাবে এটাকে কতদূর কী করা যায়- এটা ঠিক করা উচিত। যেমন আবাসিক এই সুবিধাটা দিতে গেলে এখানে উত্তরাধিকারীর প্রশ্ন উঠবে- শুধু ঢাকাতেই মিরপুরে কেন। অনেকে তো গ্রামাঞ্চলে এবং অন্য শহরে থাকে। কাজেই এটার ভালো উত্তর ছিল কিন্তু এটাকে আরো পরিকল্পনা করতে হবে এবং এটার ব্যয়ের প্রাক্কলন ঠিকমত হয়েছে কিনা, এজন্য একাধিক মন্ত্রণালয়কে এটাকে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।”

    তবে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কাছে এর সমন্বয়ের দায়িত্ব যাবে তুলে ধরেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।

    জুলাই নিহতদের ফ্ল্যাট: ‘যথাযথ’ ব্যয় না ধরায় একনেকের ‘না’

    ঢাবির ‘অধিকতর’ উন্নয়নে ২,৮৪০ কোটি টাকার প্রকল্প

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অধিকতর’ উন্নয়নের জন্য ২ হাজার ৮৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে একনেক সভায়।

    পরিকল্পনা উপদেষ্টা নিজের শিক্ষাজীবন ও শিক্ষকজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে তখনকার সময় থেকে এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়লেও এর আবাসনের মান অনেক কমে গেছে বলে মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, “আজকে যেটা সবচেয়ে বড় প্রকল্প আমাদের নিজেদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় প্রকল্প সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা পূর্ণাঙ্গ পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা, এটা আমরা অনুমোদন করেছি। এখানে একাডেমিক ভবন থাকবে ছয়টা। চারটি হল ছাত্রীদের জন্য, যেখানে ২ হাজার ৬০০ ছাত্রীর আবাসিক ব্যবস্থা এবং ৫ হাজার ১০০ ছাত্রের জন্য পাঁচটি হল।

    “শিক্ষক অফিসারদের জন্য আবাসিক ভবন দুটি, অন্য প্রশাসনিক ভবন একাডেমিক ভবন ছয়টি, অন্যান্য ভবন নির্মাণ পাঁচটি, স্টেডিয়াম, ডাকসু ভবন এসব অনেক কিছু আছে।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জায়গার মধ্যে এতগুলো ভবন কীভাবে নির্মাণ করা হবে সেটির ব্যাখ্যায় উপদেষ্টা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যময় যেই স্থাপনাগুলা- এসএম হল, কার্জন হল এগুলোকে কিন্তু সংরক্ষণ করতে হবে। আর এগুলো আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগুলা হলো আইকন। এগুলো দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চেনে।

    “কিন্তু অন্যান্য যেই ভবনগুলোর কথা বলা হলো এগুলো কিন্তু নতুন জায়গায় হওয়ার কোনো জায়গা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৩৫০ একর জমির উপর। এখানে আর বেশি জায়গা নিলে এত ঘন হয়ে যাবে যে এটা আবার পরিবেশগতভাবে ভালো হবে না।”

    এমন প্রেক্ষাপটে পুরনো কিছু ভবন ভেঙে এবং যেগুলো সুউচ্চ নয় সেগুলোর স্থানে বহুতল নতুন ভবন করার কথা বলেন তিনি।

    সর্বশেষ

    আসামে এক মাসে ৩৪০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ, বাংলাদেশে পুশব্যাক

    ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে মুসলমানদের উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঠেলে...

    জিমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন নায়ক জসীমের ছেলে-সংগীতশিল্পী রাতুল

    জিমে ব্যায়াম করার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন নায়ক...

    বাংলাদেশের ফুটসাল নিয়ে আশাবাদী ইরানি কোচ

    হামজা চৌধুরী ও সামিত সোমের আগমনে নতুন করে উন্মাদনা...

    ১৫ শতাংশ শুল্কে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ’র

    কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর অবশেষে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে ইউরোপীয়...

    আরও সংবাদ

    আসামে এক মাসে ৩৪০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ, বাংলাদেশে পুশব্যাক

    ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে মুসলমানদের উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঠেলে...

    জিমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন নায়ক জসীমের ছেলে-সংগীতশিল্পী রাতুল

    জিমে ব্যায়াম করার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন নায়ক...

    বাংলাদেশের ফুটসাল নিয়ে আশাবাদী ইরানি কোচ

    হামজা চৌধুরী ও সামিত সোমের আগমনে নতুন করে উন্মাদনা...