মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা একসময় মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় পেয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু সেই মানবিকতা আজ বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ বোঝায় পরিণত হয়েছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা এখন দেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১৭ সালের রোহিঙ্গা ঢলের পর থেকে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এখন রোহিঙ্গা বোঝায় জর্জরিত। বর্তমানে শুধু পালংখালী ইউনিয়নেই ৮টি ক্যাম্পে লাখ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, ক্যাম্পের বাইরে অগণিত রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম ও পাহাড়ি এলাকায়। এতে স্থানীয়রা নিজেদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে দেখছেন।
রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষোভ প্রকাশ করে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেসবুকে লিখেছেন, আমি দেশদ্রোহী নই, রোহিঙ্গাবিরোধী। কারণ প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা পালংখালী ইউনিয়নে, অবশ্যই আমি প্রতিবাদ করব। তার অভিযোগ, মাত্র ৫০ হাজার স্থানীয়ের বিপরীতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার চাপ তাদের স্বাভাবিক জীবন ধ্বংস করছে। তিনি আরও জানান, দুই মাস আগে প্রায় ৬০ হাজার নতুন রোহিঙ্গা স্থানীয়দের ঘরবাড়িতে রাখা হয়েছে এবং আরও ৫০ হাজারকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে।
একই রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উখিয়া ও টেকনাফের রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিরা। কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে সেখানকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ইয়াবা পাচার, চুরি-ডাকাতি ও নানা অপরাধে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
স্থানীয়দের মতে, রোহিঙ্গা ইস্যু আর মানবিকতার জায়গায় নেই। এটি এখন জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
জেড নিউজ , ঢাকা ।