প্রথম ম্যাচে জয়ে শুরু, এরপর দুই ম্যাচে হারে শেষ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে মাঠ ছাড়তে হলো লিটন দাসের বাংলাদেশকে।
এক বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার সহযোগী সদস্যের কাছে সিরিজ হার
হতাশার এই চিত্র নতুন নয়। এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার আইসিসির সহযোগী সদস্য কোনো দলের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ। ঠিক এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ২১ মে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও একই পরিণতি হয়েছিল টাইগারদের।
এবার সেই হতাশার পুনরাবৃত্তি ঘটল আরব আমিরাতের বিপক্ষে, যারা টেস্ট মর্যাদা না পেলেও দিন দিন নিজেদের প্রমাণ করে চলেছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে।
হতাশ লিটনের চোখে সিরিজ পরাজয়
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুখচাপা হতাশা ছিল অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে। “নিশ্চয়ই, এটা আমাদের প্রত্যাশার মতো হয়নি। বিশেষ করে যখন আপনি সবসময় জয়ের মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামেন, তখন এমন ফল হতাশাজনক। তবে এটা জীবনেরই অংশ। ক্রিকেট খেলায় কখনো কখনো প্রতিপক্ষ সত্যিই ভালো খেলে—তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ”
ব্যাটিং ব্যর্থতা ও শিশিরের প্রভাব
ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই সিরিজ হারের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন লিটন। “এই উইকেট ও কন্ডিশনে আমরা যেটা আশা করেছিলাম, পারফরম্যান্স ছিল তার অনেক নিচে। তিন ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে বল করেছি আমরা, আর শিশির ছিল বড় একটি ফ্যাক্টর। ”
আশার আলোও দেখছেন লিটন
তবে হতাশার মাঝেও কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন তিনি—“পারভেজ ইমন, তানজিদ তামিম, হৃদয় এবং জাকির কিছু ম্যাচে ভালো খেলেছে। মাঝের ওভারে কিছু বোলারও ভালো বল করেছে। তবে আমাদের এখনো অনেক কিছু শেখার আছে, এবং সেই শিক্ষা মাঠে কাজে লাগাতে হবে। ”
আরব আমিরাতের কৃতিত্ব স্বীকার
প্রতিপক্ষের প্রশংসাও করেছেন লিটন দাস—“তারা আজ দারুণ খেলেছে। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে অসাধারণ বোলিং করেছে। ব্যাটিংয়ে শিশির তাদের সহায় হলেও মিডল অর্ডারে তারা কোনো চাপে ভাঙেনি। অবশ্যই তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। ”
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আগে ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়েছিল তারা।