জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর ওপর শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভাবন থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ মিছিল শেষ হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘যেই হাত শিক্ষক মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘ছাত্রদলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘এক দুই তিন চার, অছাত্ররা ক্যাম্পাস ছাড়’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ম্যানেজমেন্টের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জবি প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’ এসব স্লোগান দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এহেন গুণ্ডামি কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি বিভাগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া এবং শিক্ষকের ওপর হামলা করতে পারে না। এ ঘটনার বিচার প্রশাসনকে করতে হবে।
সমাবেশে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইরফান বলেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা জুলাইয়ে আহত হন এবং বিগত সময়েও ছাত্রদল করেছে তাদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বডিতে থাকা ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামের ওপরও হামলা করে তারা।
তিনি আরও বলেন, যেখানে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের নিরাপত্তা নেই। সেখানে এসব সন্ত্রাসীদের থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে? কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিন্দাটুকু জানায়নি। এছাড়া নিরব ভূমিকায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরাও।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদের গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা।