হাসিনা সরকারের গুম, বিচার বহির্ভুত হত্যা ও ক্রসফায়ার নিয়ে বহু আগে থেকেই সরব ছিলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তবে ভারতের একচ্ছত্র মদদ থাকায় কোনো বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েই কাবু করা যায়নি খুনি হাসিনাকে। তিনি তার ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে বিরোধী মত দমনে সর্বোচ্চ কঠোরতা জারি রাখেন।সূত্র বলছে, চব্বিশের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর গুম প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। আবিস্কার হয় আয়নাঘরের। যা বিস্মিত করে বিশ্ব পরিমন্ডলকে।
অন্তবর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর গঠিত হয় গুম কমিশন। যেই কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করছে গুম কমিশন। আর কমিশনের যাবতীয় কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ।গুম নিয়ে ড. ইউনূস সরকারের পদক্ষেপ দেখতে সম্প্রতি ঢাকায় আসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের (ডব্লিউজিইআইডি) দুই প্রতিনিধি।
সোমবার তারা সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গুম কমিশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তারা। এসময় উপদেষ্টা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের জানান, হাসিনার আমলে গুমের বিচার এবং ভবিষ্যতে যাতে ঘৃণিত এই চর্চা ফিরে না আসে সে জন্য গুম বিষয়ে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
জেড নিউজ, ঢাকা।