সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৩ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণে নেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট, বিআরটি প্রকল্প অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চরম সংকটে পরিণত হয়েছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এডিবি এবং ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা, এএফডি থেকে নেওয়া এই ঋণ ব্যয় করা হয়েছে এক ‘দানবীয় ও অপরিকল্পিত’ প্রকল্পে । যার সুফল তো দূরে থাক, শেষ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও নেই।
প্রকল্পটি ছিল গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০.৫ কিমি বাস চলাচলের নির্দিষ্ট লেন নির্মাণ।
২০১২ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল মাত্র ৪ বছর। কিন্তু পরে ৫ দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এতেও শেষ হয়নি বাস্তবায়ন কাজ। এবার ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ৫ বছর বাড়িয়ে প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয় পরিকল্পনা কমিশনে।
এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৬৫% অর্থ খরচ হলেও প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৭৭%– যা আদৌ যথেষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই তিনবার সংশোধনের পর ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা এবং চতুর্থ সংশোধনীও অনুমোদন হয়নি।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকারের লোক দেখানো উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে বিআরটি। এটি এখন রীতিমতো গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজ এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি বন্ধও করা যাচ্ছে না, আবার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে গেলেও অনেক টাকার প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্পে যথাযথ যাচাই-বাছাই না করে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। এর পেছনে ছিল দুর্নীতির বড় চক্র, যারা কমিশনের বিনিময়ে বিদেশি ঋণের ফাঁদে ফেলে দেশকে চরম বিপদে ঠেলে দিয়েছে।
জেড নিউজ , ঢাকা ।