কোরবানিকে কেন্দ্র করে দেশে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কঠোর রয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিজিবির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলা প্রশাসন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
সম্প্রতি সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, দেশে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিজিবি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
গত কয়েক দশক ধরে কোরবানিতে বিদেশি বিশেষ করে ভারতীয় গরুর প্রাধান্য ছিল। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশীয় পশুই কোরবানির চাহিদা মেটাচ্ছে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এবার দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। মন্ত্রণালয় বলেছে, এ বছর ২০ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু থাকায় এ বছর কোরবানি ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
জেড নিউজ, ঢাকা।