জেড নিউজ
জুলাই বিপ্লবের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো রাষ্ট্র সংস্কার। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের দেশের প্রতিটি সেক্টরের নির্লজ্জ দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি থেকে দেশকে মুক্ত করা। শিক্ষার্থীদের এমন অভিপ্রায় আস্থার সৃষ্টি করলে তাতে আপামর জনসাধারণ সমর্থন দেয়। আবালবৃদ্ধবনিতার কঠোর প্রতিরোধে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা, সফল হয় গণবিপ্লব।
তবে সময় যত গড়াচ্ছে বিপ্লবের সেই চেতনা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ নির্মুলের বিপরীতে কোথাও কোথাও পুনর্বাসিত করা হচ্ছে তাদের। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ; সংস্কারে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেমনই একটি খবর ভাইরাল হয়। গণমাধ্যম সংস্কারে গঠিত কমিটি, আওয়ামী দোসর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত হাসিনার প্রেতাত্মাদেরকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানায়। গত ২২ জানুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয়ভুক্ত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন থেকে জারি করা এক চিঠিতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরি নওফেল, কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয় সেই চিঠিতে।
ছাত্র বিপ্লবের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান এবং সাধারণ মানুষ হত্যায় জড়িত এসব আওয়ামী নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ পেলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সরকার জেনেবুঝেই এসব করছে, নাকি কোনো একটি পক্ষ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে, সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন ছুঁড়ছেন নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ।