কোরবানির ঈদ ঘিরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কূটনীতিতে শুরু হয়েছে এক নতুন অধ্যায়। দেশের শহরজুড়ে বইছে উৎসবের হাওয়া, আর রাজধানীর গাবতলী হাটে দেখা মিলছে বিজয়ের আনন্দ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদে বাংলাদেশের পশু চাহিদা প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ। বিস্ময়করভাবে, এই বিপুল সংখ্যক পশুর চাহিদা পূরণ হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় উৎপাদন থেকে। একটিও ভারতীয় গরুর প্রয়োজন হয়নি, যা ইতিহাসে এই প্রথম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, এটি “পশু কূটনীতির বিপ্লব” ।
অন্যদিকে বাংলাদেশে গরু পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ভারতের সীমান্তবর্তী পশু উৎপাদন অঞ্চলগুলিতে দেখা দিয়েছে বির্পযয় । আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই গরু বিক্রি না হওয়ার কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি রুপি।
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও আসামের পশু খামারগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ গরু অবিক্রিত রয়েছে। ফলে বাজারে গরুর দাম অর্ধেকে পড়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা।
দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্সের অধ্যাপক শিবাংশু রাও বলেছেন , “বাংলাদেশ এখন কেবল ভারতীয় পশুর বিকল্প নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ মডেল। ভারতের ধর্মীয় সীমাবদ্ধতাকে বাংলাদেশ পরিণত করেছে অর্থনৈতিক শক্তিতে।”
সরকারি সূত্রমতে, ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ গরু রপ্তানিকারক দেশ হতে চায়। ইতোমধ্যে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ওমান এবং কয়েকটি আফ্রিকান দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যা ভারতের জন্য এটি একটি কৌশলগত সংকেত মনে করছে বিশ্লেষকরা ।
জেড নিউজ , ঢাকা ।