কাশ্মীর হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। সামরিক হামলা-পাল্টা হামলার পাশাপাশি চলছে সাইবার যুদ্ধও। এই অবস্থায় ফের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশ দুটির ৭৮ বছরের বৈরী সম্পর্কের ইতিহাস।
শনিবার এ নিয়ে প্রকাশিত আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর থেকেই ‘ভূস্বর্গ’ খ্যাত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। সে সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর ছিলো হিন্দু রাজার অধীনে। এ নিয়ে পাক-ভারত প্রথমবারের মতো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
যুদ্ধ শেষে আজাদ কাশ্মীর, গিলগিট এবং বালতিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তান, অন্যদিকে ভারতের নিয়ন্ত্রণে যায় কাশ্মীর উপত্যকা, শ্রীনগর, জম্মু এবং লাদাখ।কাশ্মীর স্বায়ত্তশাসিত থাকবে, এই অঞ্চলের নিজস্ব সংবিধান, পতাকা ও আইন থাকবে- এমন প্রতিশ্রুতিতে কাশ্মীরের হিন্দু রাজা হরি সিং ভারতে যোগ দেন। এই বিশেষ মর্যাদা ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা মোদি সরকার ২০১৯ সালে বাতিল করে দেয়।কাশ্মীর নিয়ে ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তান আরও দুটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে এক হামলায় তিন দিনে ১৬৩ জন নিহত হলে বাড়ে উত্তেজনা।
২০১৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনীর ওপর এক মারাত্মক হামলার পর নরেন্দ্র মোদি জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নিজস্ব আইন চালু করে। সেই থেকে শুরু হয় কাশ্মীরিদের অবরুদ্ধের জীবন। সর্বশেষ গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার জেরে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।যদিও পেহেলগাঁওয়ের ওই হামলাকে সাজানো নাটক দাবি করে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অনেকটা হার্ড লাইনেই রয়েছে পাকিস্তান।
জেড নিউজ,ঢাকা।