ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতা। এই শহরেরই একটি ব্যস্ততম এলাকার বাণিজ্যিক ভবনে আবিস্কৃত হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। যেখানে পলাতক আওয়ামী নেতাদের মজমা হচ্ছে। চলছে দলীয় কার্যক্রম। অত্যন্ত গোপণীয় এই তৎপরতা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খবর প্রকাশের পর দেশ-বিদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির কাছের কোনো গোপণ স্থানে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার আস্তানা থাকলেও কলকাতার পার্টি অফিসটিতে নিয়মিতই বসছেন পলাতক এমপি-মন্ত্রীরা।এক সঙ্গে জনা তিরিশেক লোক সেখানে বসতে পারেন। দলীয় কোনো প্রোগ্রামের জন্য এর বেশি জমায়েতের প্রয়োজন হলে তারা সেখানে হল ভাড়া করছেন।
আওয়ামী নেতাদের ভাষ্য- দেশের রাজকীয় জীবন ছেড়ে কলকাতার জীবন অনেকটাই মানবেতর কাটছে। দেশ থেকে প্রয়োজন মতো টাকা পাঠালেও খরচ করতে হচ্ছে খুব হিসাব করে।
তাদের ভাষায়, একাত্তরে এই ভারতে বসেই প্রবাসী সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তারপর সেখান থেকে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়। এবারের পরিস্থিতি একাত্তরের মতো না হলেও তারা সেখানে সংগঠিত হচ্ছে, শক্তি সঞ্চয় করছে এবং ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এদিকে কলাতার ওই পার্টি অফিস খোলার বিষয়টি সামনে আসার পর ঢাকায় এ নিয়ে চলছে ট্রল। আওয়ামী লীগ যে বাংলাদেশে সব সময়ই ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছে তা আবারো প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। তা না হলে বাংলাদেশের গণহত্যাকারী দলটি ভারত সরকারের এমন নির্লজ্জ আশ্রয় কিভাবে পায়- এ নিয়ে বিস্ময় কিংবা প্রশ্নের শেষ নেই নানা মহলে।
জেড নিউজ, ঢাকা।