রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন চলছে শেষ সময়ের ছোঁয়া। প্রস্তুতিমূলক ধাপে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাইপলাইন ও যন্ত্রপাতিকে ধুলাবালি, তেল, ওয়েল্ডিংয়ের অবশিষ্টাংশ পরিষ্কার করা হচ্ছে। পানি, বিশেষ রাসায়নিক বা বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে। সিস্টেম স্থাপনের পর পরিষ্কার করা হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন পাইপলাইন ও যন্ত্রপাতির ওপর হাইড্রোলিক পরীক্ষা করা হবে, যার উদ্দেশ্য এগুলোর দৃঢ়তা পরীক্ষা করা। এ ছাড়া কোথাও কোনো লিকেজ বা ফাটল আছে কি না, তা যাচাই করা।
এগুলো করে নিশ্চয়তা দেওয়া হয় যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিরাপদ, কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক মানসম্মত। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইইএ) এসব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি উচ্চপ্রযুক্তির এবং নিরাপত্তানির্ভর প্রকল্প। প্রতিটি ধাপ সুপরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়, যাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম হয় ও সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়। রূপপুরে প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষে এখন কমিশনিংয়ের প্রস্তুতি হিসেবে চূড়ান্ত পর্যায়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে নিখুঁতভাবে।
বর্তমানে আইএইএর একটি প্রতিনিধিদল প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছে। ২৭ আগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও অন্যান্য নানা বিষয় পরিদর্শন করবে। এরপর অনুমতি মিললে সুবিধাজনক সময়ে প্রথম ইউনিটে জ্বালানি লোড করা হবে। এই জ্বালানি লোড করার পর সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে লাগবে প্রায় ৯০ দিন।
আশা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতেই প্রথম ইউনিট থেকে “পাওয়ার স্টার্টআপ” বা বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এরপর ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়িয়ে পূর্ণ সক্ষমতায় যেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।’
জেড নিউজ, ঢাকা।