চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের বিহার রাজ্যের নির্বাচন। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৪ জুনের মধ্যেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা বা এসআইআর চলছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফে মুকুল কেশবনের লেখা এক মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন বা এনআরসি ও বিহারের এসআইআরের লক্ষ্য উদ্দেশ্য প্রায় একই। তা হলো-বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কথিত অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব থেকে বাদ দেয়া।
ওই নিবন্ধে বলা হয়, মুসলমানদের প্রতি সাধারণ শত্রুতার অংশ হিসেবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে মোদির বিজেপি সরকার। এর মাধ্যমে তারা হিন্দু ভোট ব্যাংক বাড়াতে চায়।
তবে ২০১৯ সালের আগস্টে জমা দেয়া আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা বিজেপির জন্য বুমেরাং হয়ে যায়। কেননা বাদ পড়া প্রায় ২০ লাখ মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল বাঙালি হিন্দু এবং আদিবাসী গোষ্ঠী। ফলে বিজেপিই এই তালিকার সংশোধন দাবি করে।
এদিকে, অমুসলিমদের বাদ পড়ার সমস্যা কাটাতে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-সিএএ’র প্রবর্তন করে। মুসলিম দেশ গুলোকে রেখে শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকে রহস্যজনকভাবে বাদ দেওয়া হয় এই আইন থেকে। যা মোদির মুসলিম বিতাড়নের পরিকল্পনা ফাঁস করে দেয়।
টেলিগ্রাফে মুকুল কেশবনের লেখা ওই নিবন্ধ বলছে, বিহারে সম্প্রতি চালু হওয়া বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা বা এসআইআরও মোদির সেই পরিকল্পনারই অংশ।
জেড নিউজ, ঢাকা।