শুধু জনতা ব্যাংকেই ৭ গ্রুপের খেলাপি ৪১,৮৬২ কোটি টাকা। আর দুই বছর আগে সংসদে দেওয়া শীর্ষ ২০ খেলাপির তালিকায় বেক্সিমকো ও এস আলমসহ ছয় গ্রুপের নামই ছিল না।
বছরের পর বছর ঋণ নিতে পেয়েছে নানা সুবিধা, পরে সেই টাকা পরিশোধ না করতেও অকাতরে দেওয়া হয়েছে একের পর এক ছাড়; ফলাফল পাঁচ ব্যাংকে খেলাপির শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর দায় গিয়ে ঠেকেছে ৫২ হাজার কোটি টাকায়।
সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতের গোপন অনেক বোঝাপড়া প্রকাশ্যে আসতে শুরু করলে ঋণ খেলাপির তালিকাতেও বিস্তর ওলটপালট হয়েছে; দেড় দশক ধরে খেলাপি না থাকা বেক্সিমকো ও এস আলম গ্রুপ এক লাফে চলে এসেছে তালিকার শীর্ষে।
শীর্ষ দশের মধ্যে কয়েকটি আগে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হলেও দেশের ব্যবসায়িক জগতে অল্প পরিচিত তিনটি কোম্পানির নাম তালিকার উপরের দিকে দেখে বিস্ময় জাগছে অনেকের।
এসব গ্রুপকে বাছবিচারহীনভাবে ঋণ দেওয়া পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদার ছিল জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটিতে শীর্ষ দশের সাতটি গ্রুপের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক সময় ভালোর কাতারে থাকা ব্যাংকটির খোলস উন্মোচিত হচ্ছে নানা কায়দায় বিভিন্ন কোম্পানির বের করে নিয়ে যাওয়া অর্থের হিসাব সামনে আসায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক তালিকায় শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপি এবং সেগুলোকে উদার হাতে টাকা দিয়ে যাওয়া এসব ব্যাংকের নাম এসেছে।
এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী হিসেবে আলোচিত বেক্সিমকো ও এস আলম ছাড়াও পুরনো খেলাপি অ্যানোনটেক্স, ক্রিসেন্ট ও রতনপুর গ্রুপের নাম রয়েছে।
উঠে এসেছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আসলামুল হকের মাইশা গ্রুপ আর অপরিচিত রিমেক্স ফুটওয়্যার ও রাঙ্কা গ্রুপের নামও। নরসিংদীর স্বল্প পরিচিত জাকিয়া গ্রুপ আছে তালিকায় সাত নম্বরে।
দুই বছর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সংসদে আগের সরকারের আমলে প্রকাশ করা শীর্ষ ২০ খেলাপির তালিকায় বেক্সিমকো ও এস আলমসহ এর ছয় গ্রুপের নামই ছিল না।