চব্বিশের গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের। বিচারের আওতায় রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। যদিও এরপরও দেশ ও সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগের অপপ্রচার কিংবা অপতৎপরতা কমেনি।
সূত্র বলছে, জুলাই গণহত্যায় হাসিনার জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমানাদি রয়েছে ট্রাইব্যুনালের কাছে। তবে সম্প্রতি বিবিসি ও আল-জাজিরায় প্রকাশিত ডকুমেন্টারিগুলি হাসিনার অপরাধকে অকাট্যভাবে প্রমাণ করেছে। এখন আর হাসিনার পার পাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগে একাধিক ফোনালাপ ফাঁস হলেও আল জাজিরার সর্বশেষ প্রকাশ করা ৪৯ মিনিটের প্রতিবেদনে কিছু নতুন তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। ওই ফোনালাপে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমন করতে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
আন্দোলন দমাতে হাসিনার এমন নির্দেশের পরই রাজপথে ব্যাপক হতাহত হতে থাকে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে হাসিনার অপরাধকে বদ্ধমূল করতে আল-জাজিরার এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর গণহত্যার নির্দেশের প্রমাণ হাজির হওয়ার পর সুর নরম করছে ভারতও। হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে তাদের সকল প্রচেষ্টা যখন একে একে ব্যর্থ হচ্ছে, তখন তারা বাংলাদেশের সঙ্গেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে মনযোগী হচ্ছে বলে খবর দিচ্ছে খোদ ভারতীয় মিডিয়াও।
জেড নিউজ, ঢাকা।