জেড নিউজ, ঢাকা।
অন্তর্বর্তী সরকার যখন দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেয়, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তখন ভঙ্গুর প্রায়। দেশকে পঙ্গু করে আওয়ামী সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য পরিশোধে বেগ পেতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতেও রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার সবরকম চেষ্টা করছে সরকার। শীতকালে সারাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা ৯ হাজার মেগাওয়াট থাকে, গ্রীষ্মে সেই চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭-১৮ হাজার মেগাওয়াট। এই চাহিদা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম দুটো কারণ হচ্ছে সেচ ও এসির ব্যবহার। সেচ যেহেতু খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাই তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এসির ব্যবহার যদি কমানো যায়, তাহলে কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
তাই রমজানে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিস, মসজিদ ও বাসাবাড়িতে এসির ব্যবহার ২৫ ডিগ্রিতে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দিষ্ট টিম কাজ করবে, কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে সে এলাকায় লোডশেডিং করা হবে।কিন্তু এই বিষয়টিকেই উপদেষ্টার হুমকি বলে অতিরন্জিত সংবাদ প্রচার করছে ভারতীয় মিডিয়া- যা অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর।