চব্বিশে হাসিনার গণহত্যার বিপরীতে যেমন একটি মানবিক বাংলাদেশ দেখা গিয়েছিলো, ঠিক একই চিত্র দেখা গেলো সোমবারের উত্তরা ট্রাজেডির পর। আহতদের বাঁচাতে রক্ত দানের সারিতে দেখা মিললো নানান শ্রেণি পেশার মানুষের। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবক এমনকী এলেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও। যারা শুধু রক্ত নয়, যে কোনো প্রকার সহায়তার জন্যও প্রস্তুত।
যদিও ওই দুর্ঘটনার পর উত্তরা কিছু কিছু দোকান, ফার্মেসী কিংবা সিএনজি চালকদের বিপরীত চরিত্রও প্রকাশ পেয়েছে। অগ্নিদগ্ধ শিশুদের কোলে নিয়ে যেমন অচেনা-অপরিচিত অনেকেই ছোটাছুটি করেছেন, তেমনি অনেকেই আবার ভিড় জমিয়ে বাধাগ্রস্থ করেছেন উদ্ধার কাজ। এমন হাহাকারের মুহূর্তেও অনেকে ছিলেন মোবাইলে ভিডিও ফুটেজ ধারণে ব্যস্ত।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি শেষ মেষ মানবিকই হয়েছে। সেখানে দগ্ধ শিক্ষককে যেমন নিজের চিন্তা বাদ দিয়ে তার আদরের সন্তানতুল্য শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে, তেমনি দেখা গেছে হাসপাতালের সামনে হাজারো সমমর্মী মানুষের ভিড়। যারা কাগজে রক্তের গ্রুপ লিখে উঁচিয়ে ধরেছেন যাতে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।
অনেকেই আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন- এমন দুর্যোগকালে কাউকে কোনো প্রকার সাহায্য করা যায় কি না, এই ভেবে। তাদের ভেতরের এই মানবিকতা যে কারো হৃদয়কে বিগলিত করে দেয়। শোক আর সঙ্কটের এই সংগ্রামে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের এমন এগিয়ে আসাই চিত্রিত করে একটি মানবিক বাংলাদেশের।
জেড নিউজ, ঢাকা।