হুতিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের সীমানার ভেতরে আঘাত হেনেছে।
রবিবার (৪ মে) সকালে এই হামলায় চারজন আহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকলেও পরে ফ্লাইট ওঠানামা আবারো চালু হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিমানবন্দরের কাছে একটি সড়কে গাড়িচালকেরা গাড়ি থামিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়ে যাচ্ছেন। মুহূর্তের মধ্যে আকাশে দেখা যায় বিস্ফোরণে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আমাদের ওপর আঘাত হানে, আমরা তাদের সাতগুণ শক্তিতে পাল্টা জবাব দেব।
এই হামলার ঘটনায় চারজন আহত হন এবং আরও দুজন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
এদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলের এই বিমানবন্দর এখন থেকে আর নিরাপদ নয়।
গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেছেন, ইসরায়েলের সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সামর্থ্য তাদের আছে— এটি তারা প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে কোনো রেড লাইন নেই।
হুথিদের গণমাধ্যম প্রধান নাসের আল-দিন ওমর বলেন, ইসরায়েলে ফ্লাইট পরিচালনা করা এখন বিমান সংস্থাগুলোর জন্য বিপজ্জনক। যেকোনো সময় হামলা হতে পারে।
হামাসের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আগেও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে হুতিরা। তবে ইসরায়েলের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সরাসরি লক্ষে আঘাত হানার ঘটনা খুবই বিরল।
ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের আকাশসীমা পেরোতেই কয়েকটি অঞ্চলে সতর্কতা সাইরেন বাজানো হয়। তবে এটি আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি তদন্ত করছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে বিস্ফোরণস্থলে বড় গর্ত দেখা গেছে, যা হামলার ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হুথি ঘাঁটিগুলোতে বিমান হামলা শুরু করে।
এই সর্বশেষ হামলা স্পষ্ট করে দিচ্ছে—গাজা সংকট ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা এখন একটি বিস্তৃত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।