ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। তেলের দামতো বাড়বেই। বাড়বে অর্থনৈতিক নানা সঙ্কট। যার মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রার বিশাল একটি অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রম বাজার থেকে। এর মধ্যে কেবল সৌদী আরবেই রয়েছে অন্তত ৩৫ লাখ বাংলাদেশি। এছাড়া উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক শ্রমিক রয়েছে ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, লিবিয়াসহ অন্য দেশগুলোতেও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান কিংবা ইসরায়েলে তেমন কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক না থাকলেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়বে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান। অন্যান্য দেশে কাজের সংকট হবে। কমে যাবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের নির্মাণ খাত, পরিষেবা খাত ও আবাসন খাত স্থবিরতা দেখা দেবে। ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের হঠাৎ করে কাজ হারানোর শঙ্কা তৈরি হবে।যুদ্ধ গড়াতে থাকলে ছেদ পড়বে আন্তর্জাতিক পরিবহন সেবায়ও। বাণিজ্যিক বিমান চলাচল কমে যাবে। আকাশ সীমা অরক্ষিত থাকায় ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের ফ্লাইটও বিঘ্নিত হবে।
যুদ্ধ বিশারদরা বলছেন, ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি এমন সময় সৃষ্টি হলো, যখন বিশ্ববাজার এমনিতেই নানা অনিশ্চয়তায় জর্জরিত। একদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির খড়গ অন্যদিকে ইরানের ওপর ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ-এই দুইয়ে মিলে বাংলাদেশও যেন স্বস্তিতে নেই সেই বিষয়টি এখন কেবল অনুমান নয় বরং বাস্তবতা।
জেড নিউজ, ঢাকা।