কি নির্মম-নিষ্ঠুর নিয়তি! আকাশ ছোঁয়া দম্ভ আর অতিমাত্রার আত্মবিশ্বাসই কাল হলো ইতিহাস ঋদ্ধ দলটির। অথচ শুরুটা ঠিকই ছিলো। বাংলাদেশ সৃষ্টির আগেই যে দলটির উন্মেষ ও বিকাশ তার বিলুপ্তি হলো কেবল একজন ব্যক্তির অতিরিক্ত অমানবিকতা, ক্ষমতা লিপ্সা আর দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারনে।
ইতিহাস বলছে, ১৯৪৯ সালে টিকাটুলির রোজ গার্ডেনে যে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের উন্মেষ ঘটেছিলো তাকে ১৯৭৫ সালে গলাটিপে হত্যা করে শেখ মুজিব। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামটি কেটে-ছেঁটে সেটি হয়ে যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মূলত সেদিন থেকেই মুজিবের হাতে ক্ষতবিক্ষত হয় মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানীর হাতে গড়া এই দলটি।
মাঝখানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলে ফের রাজনীতির সুযোগ পায় দলটি। যদিও এরপর থেকে দলটি তার নীতি-আদর্শ ধরে রাখতে পারেনি। বরং পরিচালিত হয়েছে উল্টোপথে-উল্টোমতে।
হাসিনার একক নেতৃত্বে দলটির পরিচালিত হওয়ায় মুজিব আমলের নেতারাও ছিলেন ক্ষুব্ধ-বিরক্ত-বিভক্ত। দেশ ও জনগণের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে হাসিনা দলটিকে ব্যবহার করলেও মুখ ফুটে তার প্রতিবাদ করতে পারেননি কেউেই। ফলে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক দানবে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠেন হাসিনা।অবশেষে চব্বিশের বিপ্লবে পতন হয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের। আর গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এখন দলটির আশ্রয় জুটেছে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে।
জেড নিউজ, ঢাকা।