চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ইউরোতে। ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ইউরো।
সামগ্রিকভাবে ইইউ এ সময়ে ৪৩ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ইউরোর পোশাক আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ ইইউর গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি বেশি। এই বর্ধিত প্রবৃদ্ধি ইইউর বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও শুল্ক উত্তেজনার কারণে চীন তার আমেরিকান বাজারের অংশ হারাচ্ছে এবং এতে মরিয়া হয়ে ইইউ বাজারে মনোযোগ বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে আরও সক্ষম হতে হবে, এমনটাই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইউরোপের বাজারে চীন ও কম্বোডিয়ার তুলনায় বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের ক্রেতারা বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকেছে। তারা পরিবেশগত মান, মূল্য এবং অন্যান্য শর্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পণ্যে বেশি ভরসা রাখে। তাদের মতে, চীন থেকে আসা ক্রেতাদের মাত্র ৭ থেকে ১০ শতাংশ ধরতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে। তবে এ জন্য দেশকে নিজের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।