ভারতের আসামে বিজেপি সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সীমান্তবর্তী অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। অনলাইন পোর্টাল ‘সেবা সেতু’এর মাধ্যমে আবেদন করলে অমুসলিম আদিবাসীরা অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ২৬২ কিলোমিটার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী ভূমিপুত্ররা বাংলাদেশি মুসলিম বংশোদ্ভূতদের আক্রমণ ও হুমকির মুখে পড়েন। তাই তাদের সুরক্ষার জন্যই এই উদ্যোগ। আবেদনকারীর জন্য শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে: ২১ বছরের বেশি বয়স, ভূমিপুত্র পরিচয়, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং কোনো ফৌজদারি মামলা না থাকা।
তবে বিতর্কিত এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন নাগরিক সমাজ ও অধিকারকর্মীরা। তাদের মতে, আসামের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মুসলিম, যাদের বড় অংশ বাঙালি বংশোদ্ভূত। এই নীতির কারণে সাম্প্রদায়িক বিভাজন আরও তীব্র হবে এবং সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র থাকায় সহিংসতা বাড়তে পারে।
মে মাসেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিল। এখন তা কার্যকর করা হলো। প্রাথমিকভাবে ধুবুড়ি, নওগাঁও, মরিগাঁও, বরপেটা, দক্ষিণ শালমারা ও গোয়ালপাড়া জেলায় এই নীতি প্রযোজ্য হবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।