একটি ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতি নিয়ে চব্বিশের ৮ আগস্ট সরকারের যাত্রা শুরু। সেই থেকে একের পর এক আন্দোলন-সহিংসতা মোকাবিলা। দেশ ও দেশের বাইরে যাবতীয় চাপ-ষড়যন্ত্র সামলিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ঠিকই এগিয়ে নিচ্ছে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তী সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন খাতে হাসিনা আমলের রেখে যাওয়া ঋণের কিস্তি যেমন নিয়মিত পরিশোধ করছেন, তেমনি অর্থ ব্যবস্থা কৃচ্ছতা সাধনের পাশাপাশি নিশ্চিত করছেন স্বচ্ছতা। যে কারনে তরতরিয়ে বাড়ছে দেশের অর্থনীতির আকার। যা ছাই ছুঁড়ে দিচ্ছে আওয়ামী দোসর থেকে সমালোচকদের মুখে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর খবর বলছে,অর্থনীতিতে সুবাতাস বইছে। যা কমিয়ে দেবে রাজনৈতিক উত্তাপ। কেননা ইউনূস সরকারের যারা সমালোচক তাদের হাতে আর কার্ড থাকছে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ধারাবাহিকভাবে কমেই চলেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জুন মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। যা প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমেছে খাদ্য খাতেও। ২০২২ সালের তুলনায় সেখানে কমেছে শুণ্য দশমিক ৯ শতাংশ।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৪.৬২ শতাংশ।
সরকারের নেওয়া উদ্যোগে চাঙ্গা ভাব ফিরেছে দেশের পূজিবাজারেও। গত আড়াই মাসের মধ্যে যা রেকর্ড। সোমবার দেশের প্রধান পুজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮২ পয়েন্ট।
অর্থিকখাত বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবর্তন ও উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থ বছর শেষেই পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দেশের অর্থনীতি।