৫ আগস্ট হাসিনার লজ্জাজনক পতনের পর থেকে বাংলাদেশের ওপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ চাপ সৃষ্টি করে চলছে ভারত। তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার প্রাণপণ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সীমান্তে বিএসএফ অনেক আগে থেকে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশী নাগরিকদের ধরে নিয়ে মারধরের পর হত্যা, আবার কখনো দূর থেকে গুলি করে হত্যা করছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে বাংলাদেশীদের চাষাবাদে বাধা দেয়া এবং তুলে নিয়ে মারধরের মতো অত্যাচার হরহামেশাই করছে বিএসএফ।
তবে ইদানীং বাংলাদেশকে চাপে রাখার নতুন কৌশল হিসেবে সীমান্ত দিয়ে পুশইন করছে। যার মধ্যে রয়েছে শিশু, নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ। রাতের আঁধারে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিক বাংলাভাষী মুসলমানদের পুশইন করা সম্পূর্ণভাবে একটি বেআইনি কাজ। বিএসএফের পুশইনের শিকার অনেকের পরিচয় সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। মূলত বাংলাদেশকে যেনতেনভাবে অস্থির করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই পুশইন কার্যক্রম চালাচ্ছে ভারত।
গত দুইদিনে মোট ৩৬ জনকে পুশইন করেছে ভারত। বুধবার চাঁপাইনাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, সাতজন নারী ও ১০ জন শিশু রয়েছে। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে মাসুদপুর বর্ডার অবজারভেশন পোস্টের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে তাদেরকে পুশ ইন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
এছাড়া, ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে দুই দিনে ১৬ জনকে পুশইন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।