চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো দেশের প্রায় কোটি প্রবাসী। এমনকী বিপ্লবের পক্ষে রাজপথে নেমে বিদেশের মাটিতে অনেকেই হয়েছেন নিগ্রহের শিকার। তারপরও হাসিনা পতন আন্দোলন থেকে সরে যায়নি খেটে খাওয়া রেমিটেন্স যোদ্ধারা।
প্রবাসীদের এই ত্যাগের মূল্যায়ন হিসেবে বিদেশে তাদের নানান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে অন্তবর্তী সরকার। বিশেষ করে এয়ার টিকেটের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে নেওয়া হয় কঠোর উদ্যোগ। এর ফলে টিকেটের দাম কমে যায়।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো- বেশ কিছুদিন নিয়ন্ত্রনে থাকার পর ফের সক্রিয় হয়েছে বিমানের সেই লুটেরা সিন্ডিকেট। তাদের কারসাজিতে ফের বাড়তে শুরু করেছে এয়ার টিকেটের দাম।
সূত্র বলছে, প্রবাসী ও শ্রমিক যাত্রীদের গলা কাটার এই চক্রে কিছু ট্রাভেল এজেন্সি ও এয়ারলাইন্স জিএসএ জড়িত। তাদের নিরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। এই চক্রটির কারসাজিতে ইতিমধ্যে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন রুটে টিকেট সংকট দেখা দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এই অবস্থায়, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখার পেছনে যাদের ভূমিকা, সেই প্রবাসীদের দিকে নজর দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।